খোদ আইএএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ, টাস্ক ফোর্স তৈরি করে তদন্তে যোগী সরকার
খোদ আইএএস আধিকারিকেরা বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ, টাস্ক ফোর্স তৈরি করে তদন্তে যোগী সরকার
খোদ আমলার বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে উত্তাল কানপুপ। সূত্রের খবর, কানপুরের বরিষ্ঠ আইএএস অফিসার মোহাম্মদ ইফতেখারুদ্দিনের সরকারি বাসভবনে তৈরি একটি ভিডিও নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ ওই সরকারি কর্মকর্তার বাংলোয় ধর্মীয় ধর্মান্তরকরণের জন্য একটি স্কুল চলছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে খোদ সরকারি আমলার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো চাপে পড়েছে যোগী সরকার।
তৈরি হয়েছে টাস্ক ফোর্স
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনার সত্যতা ও গভীরতা যাচাই করতে ইতিমধ্যেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে। টাস্ক ফোর্সই তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করবে সরকারের কাছএ। এদিকে এর আগে, পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ মামলার তদন্তভার এডিসিপি (পূর্ব) সোমেন্দ্র মীনার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে যা গিয়েছে টাস্ক ফোর্সের হাতে।
ভাইরাল ভিডিও
এদিকে ভাইরাল ভিডিওতে আইএএস আধিকারিক ইফতেখারুদ্দিনকে নিজের সরকারি বাসভবনে কয়েকজন মুসলিম ধর্মগুরুর সাথে দেখা যাচ্ছে। আইএএস আধিকারিককে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, বিশ্ববাসীর কাছে ঘোষণা করুন আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্ব সমগ্র বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে। যদিও ওয়ানইণ্ডিয়ার পক্ষ থেকে এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগ ইফতেখারুদ্দিন যখন কানপুরের কমিশনার ছিলেন তখন নাকি তোলা হয়েছিল এই ভিডিও।
ইসলামী পাঠশালার আয়োজন
অভিযোগ সেই সময়েই মৌলানাদের নিজের সরকারি বাসভবনে ডেকে ইসালামী পাঠশালার আয়োজন করতেন ইফতেখারুদ্দিন। এছাড়াও চলত ধর্মান্তকরণের কাজও। এদিকে অভিযোগ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছেও। এদিকে পদে থাকাকালীন সময়ে নিজের কট্টরপন্থার জন্য পরবারই শোনা যতে ইফতেখারুদ্দিনের নাম। অভিযোগ শুধু ইসলামী অনুশাসনের কঠোর বাস্তাবায়ন নয়, দীর্ঘদিন থেকে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের কাজও করতেন তিনি।
হিন্দু ধর্মকে অপমানের অভিযোগ
অন্যদিকে
ভাইরাল
ভিডিওতে
একাধিক
ধর্মীয়
উষ্কানিমূলক
বক্তব্যও
রাখতে
দেখা
গিয়েছে
আইএএস
আধিকারিককে।
ইসলামের
গুণগান
গাইতে
গিয়ে
অন্যান্য
ধর্মের
অহেতুক
নিন্দা
করারও
অভিযোগ
উঠেছে
তাঁর
বিরুদ্ধে।
ওই
ভিডিওতেই
এক
ইসলামী
ধর্মগুরু
বলছেন,
মৃত্যুর
পর
মা-বোনদের
জ্বালিয়ে
দেওয়ায়
অনেক
হিন্দুই
নিজেরে
আবেগ
ধরে
রাখতে
পারেন
না।
তারই
পরবর্তীতে
ইসলাম
ধর্ম
আপন
করে
নেন।
এই
গোটা
ঘটনায়
রীতিমতো
ক্ষোভ
প্রকাশ
করতে
দেখা
গিয়েছে
উত্তরপ্রদেশের
উপ-মুখ্যমন্ত্রী
কেশব
প্রসাদ
মৌর্যকে।