ভোট প্রচারে আছড়ে পড়তে পারে থার্ড ওয়েভ! মোদী- নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছানোর আবেদন হাইকোর্টের
দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। বেশ কয়েকটি জেলাতে যেভাবে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে সংক্রমনের সংখ্যা। এখানেই শেষ নয়, গবেষকদের একাংশের মতে, পরিস্থিতি যা ত
দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। বেশ কয়েকটি জেলাতে যেভাবে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে সংক্রমনের সংখ্যা। এখানেই শেষ নয়, গবেষকদের একাংশের মতে, পরিস্থিতি যা তাতে দেশে ফেব্রুয়ারিতে থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে।
এই অবস্থায় একাধিক রাজ্যকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু অন্য জায়গাতে তৈরি হচ্ছে আরও এক আশঙ্কার কালো মেঘ।
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ, গোয়া সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। যদি এই অবস্থায় সংক্রমণ বাড়তে থাকে তাহলে প্রচার থেকে ভোট প্রস্তুতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
শুধু তাই নয়, ব্যাপক ভাবে বাড়তে পারে সংক্রমণের হারও। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবঙ্গ নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
ওমিক্রন যেভাবে বাড়ছে সেদিকে তাকিয়েই এই আবেদন আদালতের। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচার, সভা আটকানোর ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে আবেদন জানানো হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই আবেদনের পরেই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি পিছিয়ে যেতে চলেছে উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন? যদিও আবেদনের ভিত্তিতে এখনও কমিশন কিংবা পিএমও'র তরফে কোনও বার্তা আসেনি।
এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে দেশ এবং বিদেশে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। শুধু তাই নয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার এবং সভার ভিড় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত। আদালত মনে করে, বিভিন্ন রাজনৈতিকদলের প্রচার, র্যালি সভাতে কোনও কোভিড বিধি মানা হয় না। এমনকি সোশ্যাল ডিসটেন্স বলেও কিছু থাকে না। ফলে এই ভিড় দেশে থার্ড ওয়েভ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা এলাহাবাদ আদালতের। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন বিচারপতিদের।
উল্লেখ্য, চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে দেখা যায় ব্যাপক ভাবে সংক্রমণ বেড়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে একাধিক হাইকোর্টে মামলাও হয়। সেই সমস্ত মামলাতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় নির্বাচন কমিশনকে। এমনকি কমিশনের বিরুদ্ধে কেন খুনের মামলা হবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
রীতিমত হাইকোর্টের একের পর এক তোপে অস্বস্তিতে পড়ে যায় কেন্দ্রও। সেখানে দাঁড়িয়ে হাইকোর্টের তরফে এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে লেখা ওই চিঠিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতি বলেন, জান হ্যাঁ তো জাহান হ্যাঁ...! ফলে এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার আর্জি তাঁর।