রোহিঙ্গাদের আল-কায়দায় নিযুক্ত করার দায়িত্বে ছিল দিল্লিতে ধৃত শামিয়ুন, দাবি গোয়েন্দাদের
দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আল কায়দা সদস্যের পরিবার থাকে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিয়ে ভারত এমন কী মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনায় ছিল অভিযুক্ত শামিয়ুন রহমান
দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আল কায়দা সদস্যের পরিবার থাকে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে নিয়ে ভারত এমন কী মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনায় ছিল অভিযুক্ত শামিয়ুন রহমান। এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের।
রবিবার পূর্ব দিল্লির বিকাশ মার্গ এলাকা থেকে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আদতে ব্রিটিশ নাগরিক শামিয়ুন রহমান। জঙ্গি সংগঠন নিয়ে কথা বলার সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি পুলিশের। দিল্লি, মিজোরাম এবং মনিপুরে সংগঠনের ভিত্তি তৈরির চেষ্টায় ছিল সে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বাংলাদেশে যাওয়ার আগে আল-কায়দার হয়ে আলেপ্পো এবং সিরিয়ায় লড়াই করেছিল সে। জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্যের অভিযোগে এর আগে বাংলাদেশে গ্রেফতার হয়েছিল শামিয়ুন রহমান। এবছরের এপ্রিলেই ছাড়া পায় সে। পুলিশের দাবি, এর পরেই নুসরা কমান্ডার মহম্মদ জৌলানি, ভারতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠনে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেয়। জঙ্গি সংগঠনের কাজ করতে শামিয়ুন মরক্কো, তুর্কিতেও গিয়েছিল।
পুলিশের দাবি, ম্যাসেজিং অ্যাপ প্রোটেক্টিভ টেক্সটের মাধ্যমে আল কায়দার শীর্ষ নেতৃত্ব এবং অল-নুসরা কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। কাশ্মীর, উত্তরপূর্ব, দিল্লি, বিহার এবং হাজারিবাগে থাকা প্রায় বারোজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জঙ্গি সংগঠনে নিযুক্ত করেছিল শামিয়ুন রহমান। জেরায় তাঁদের কাছে এমনটাই জানিয়েছে শামিয়ুন, দাবি দিল্লি পুলিশের।
পুলিশ ধৃতের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে। সেখানে শামিয়ুনের নাম সুমন হক এবং সে বিহারের কিষাণগঞ্জের বাসিন্দা বলেই উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও, পুলিশ ধৃতের কাছ থেকে ২ হাজার মার্কিন ডলার, একটি ল্যাপটপ, নাইন এমএম পিস্তল, ম্যাগাজিন এবং ভারত ও বাংলাদেশের একাধিক সিমকার্ড উদ্ধার করেছে।
প্রায় দুমাস আগে শামিয়ুন সম্পর্কে খবর পায় পুলিশ। সেই থেকে জালে ফেলতে চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই সময়েই এসিপি গোবিন্দ শর্মার নেতৃত্বে চার সদস্যের দল গঠন করা হয়। দলের বাকি তিনজন হলেন, কৈলাশ বিস্ত, রবীন্দর ত্যাগি এবং প্রমোদ চৌহান। সেই সময় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারি শুরু হয়। গতমাসে পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশ থেকে সীমানা পার করে ভারতে এসেছে শামিয়ুন এবং কিষাণগঞ্জে ঘর ভাড়া নিয়েছে। শামিয়ুনের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে কিষাণগঞ্জেও যায় দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল। সপ্তাহ খানেক আগে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়েছে।