যোগীকে হঠাতে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশের 'তিনের-তড়কা'
ছুটি কাটানোর জো নেই। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরপ্রদেশ জিতে ফেলা মানে দিল্লির দৌড়ে এক-পা এগিয়ে থাকা। কাজেই উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকবে এই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে কোনওভাবেই বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে চাইছেন না অখিলেশ যাদব। মোট তিনটি পদক্ষেপে ক্ষমতার মসনদ থেকে যোগী আদিত্যনাথকে সরাতে চাইছে তারা৷

কী সেই তিনটি পদক্ষেপ?
নির্বাচনে দলের প্রতীক ছাড়াও নির্ণায়ক হয়ে ওঠে প্রার্থীর ভাবমূর্তি। তাই প্রথমেই প্রত্যেকটা বিধানসভায় দলের জন্য যোগ্য প্রার্থী খুঁজছে সমাজবাদী পার্টি। কীভাবে চয়ন করা হবে সেই প্রার্থীকে? এক্ষেত্রেও তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে সমাজবাদী পার্টি। এলাকায় ব্যক্তির যোগ্যতা, কোন জাতির মানুষ ওই এলাকায় সবচেয়ে বেশি বাস করেন, দলের প্রতি ওই ব্যক্তি কতটা অনুগত। এসব বিচার করে তবেই ভোটের টিকিট দিতে চাইছে অখিলেশ যাদবের দল। মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকে দেখা গিয়েছে, ভোট মিটতেই বিরোধী শিবির থেকে বিধায়করা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তাই ভরসাযোগ্য ব্যক্তিকেই ভোটের টিকিট দিতে চাইছে সমাজবাদী পার্টি।

অখিলেশের প্রতি সমর্পন থাকতে হবে তবেই প্রার্থী!
বলাই বাহুল্য, শুধু দলের প্রতি নয়, টিকিট পেতে গেলে সমর্পণ থাকতে হবে অখিলেশ যাদবের প্রতিও৷ এর আগে জানা গিয়েছিল, এই ধরনের প্রার্থী খুঁজতে দু'টি হায়দরাবাদের সমীক্ষাকারী সংস্থাকেও কাজে লাগিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। এবার ভোটে লড়তে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বায়োডেটা জমা নেওয়াও শুরু করেছে তারা।

পিছিয়ে পড়া মানুষদের কাছে টানার চেষ্টা!
পিছিয়ে পড়া জাতির ভোটের দিকে বরাবরই বিশেষ নজর থাকে সমাজবাদী, বহুজন সমাজবাদী পার্টির৷ একদা বিএসপির 'জিসকি জিতনি সংখ্যা ভারী, উসকি উতনি হিসসেদারি, ভোট সে লেঙ্গে পিএম-সিএম, আরকশন সে লেঙ্গে এসপি-ডিএম' স্লোগান বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল রাজ্যজুড়ে৷ তবে মোদী ঝড়ে ২০১৪ থেকেই পিছিয়ে পড়া জাতির ভোটও বিজেপির পকেটে। এবার সেই অংশেই সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে সমাজবাদী পার্টির৷ এর জন্য একটি জেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে জাতির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে চাইছে দল। এই দুই পদের একটিতে যাদব জাতির কেউ বসলে অপরটিতে দায়িত্ব সামলাবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ৷

সংরক্ষিত আসনেও বিশেষ নজর!
রিজার্ভড আসনের দিকেও চোখ রাখছে সমাজবাদী পার্টি। এর আগে এই আসনগুলি বিএসপির শক্ত ঘাঁটি হওয়ায় তেমন নজর দেয়নি সমাজবাদী পার্টি। এবার এই অংশেই দাঁত ফোটাতে চাইছে তারা। বিএসপি দূর্বল হওয়ায় এখন এই সিটগুলিতে শক্ত কবজা রয়েছে বিজেপির। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৮৫টির মধ্যে ৭৫টিতেই জিতেছিল গেরুয়া শিবির।