লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন! দলের সমস্ত পদ বাতিল অখিলেশ যাদবের
লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন! দলের সমস্ত পদ বাতিল অখিলেশ যাদবের
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব রবিবার যুব ও মহিলা শাখা সহ দলের জাতীয়, রাজ্য ও জেলা কার্যনির্বাহী সমস্ত পদ ভেঙে দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনের সমাজবাদী পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রে চূড়ান্ত পরাজয়ের একসপ্তাহের মধ্যেই অখিলেশ যাদবের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে কেন অখিলেশ যাদব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই বিষয়ে দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষ্য
সমাজবাদী পার্টি তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছে, 'সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদব ও রাজ্য সভাপতি ছাড়া দলের জাতীয়, রাজ্য, ও জেলায় সংগঠনের সমস্ত কার্যনির্বাহী দলীয় পদ নষ্ট করে দিয়েছেন। এমনকী সমাজবাদী পার্টির মহিলা ও যুব শাখার সমস্ত পদ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।' সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানা যায়নি। উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর দলকে পুনর্গঠন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি পুরো শক্তি দিয়ে বিজেপির মোকাবিলা করতে হবে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপনির্বাচনে ধরাশায়ী সমাজবাদী পার্টি
রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু উপনির্বাচনে আজমগড় সমাজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লালা যাদব নিরহুয়া জয়ী হন। এই উপনির্বাচনে প্রচারে আজমগড়ে অখিলেশ যাদবকে দেখতে পাওয়া যায়নি। উল্টোদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখানে একাধিক জনসভা করেন। যোগী আজমগড়কে 'আতঙ্কগড়' বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় মানুষকে এই আতঙ্কগড় থেকে বিজেপি উদ্ধার করতে পারে। অন্যদিকে, সামজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায় আমজ খানের শক্ত দুর্গ রামগড়। জয়ী হন সমাজবাদী পার্টিরই প্রাক্তন কর্মী ঘনশ্যাম লোধি। তিনি কয়েকমাস আগেই সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রকট সমাজবাদী পার্টির দ্বন্দ্ব
যত দিন যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির করুণ পরিণতি প্রকট হচ্ছে। দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব সমাজবাদী পার্টিকে যেন আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এখনও দুই বছর দেরি রয়েছে। এই দুই বছরে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলে জনসংযোগের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ! 'দিদিকে বলো’র ধাঁচে 'বিধায়ককে বলো’ কর্মসূচি