অঙ্কে দুর্বল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা! গড় নম্বর ৪০ শতাংশের নিচে, রিপোর্ট এআইসিটিই-এর
অঙ্কে দূর্বল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা! গড় নম্বর ৪০ শতাংশের নীচে, রিপোর্ট এআইসিটিই-এর
সাধারণ মানুষের মনে ধারণা রয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মানে বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে অঙ্কে ভালো। কিন্তু সেই ধারণা যে একেবারে ভ্রান্ত তা প্রমাণ হয়ে গেল একটি সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ারা অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় অঙ্কে বেশি দুর্বল। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন এই সমীক্ষাটি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন অনুমোদিত ২০০৩টি প্রতিষ্ঠানের ১.২৯ লক্ষ জন কলেজ পড়ুয়ারার ওপর সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষা থেকেই ইঞ্জিনিয়াংরিং পড়ুয়াদের খামতি উঠে আসে, যা প্লেসমেন্ট ইন্টারভিউয়ের ওপর প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমীক্ষায় প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অঙ্ক, পদার্থ বিদ্যা ও রসায়নের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি দ্বিতীয় বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের তাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষ বিভাগের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ইন্টারনেট অফ থিংসের ওপর দক্ষতার ওপর বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
এই সমীক্ষায় প্রথম বর্ষের ২২,৭২৫ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা রসায়ন বা পদার্থবিদ্যার থেকে গণিতে অনেকটাই দুর্বল। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের অবস্থা সব থেকে খারাপ। এই পরীক্ষায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েক ছাত্ররা অঙ্কে পেয়েছে ৩৭.৪৮ শতাংশ। ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্ররা পয়েছে ৩৮.৯ শতাংশ ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্ররা পেয়েছে ৩৯.৪৮ শতাংশ, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্ররা পেয়েছে ৪০.০২ শতাংশ ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারা সমীক্ষার পরীক্ষায় অঙ্কে পয়েছে ৪০.১২ শতাংশ।
দ্বিতীয় দিনে ইডির দফতরে হাজিরা রাহুল গান্ধীর, বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার সুরজেওয়ালা
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা সব থেকে ভালো ফল করেছে। সেই তুলনায় তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের মধ্যে ইন্টারনেট, সাইবার বিভাগের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সমীক্ষার জন্য যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, সেখানে দেখা গিয়েছে, ইন্টারনেট অফ থিংস, ডেটা সায়েন্স, রোবটিক ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা বেশ ভালো ফল করেছে। এই বিষয়ে তাদের বিশেষ আগ্রহ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের নিজেদের বিভাগের বিষয়ের ওপর দক্ষতায় খামতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পরেও প্লেসমেন্ট নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে এআইসিটিই। দেখা গিয়েছে, ২০১৯-২০ সালে এআইসিটিই অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫.৮ লক্ষ পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হয়েছেন। তারমধ্যে ৩.৯৬ লক্ষ পড়ুয়া মাত্র ক্যাম্পাসিংয়ে চাকরি পেয়েছেন। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগের।