করোনার সাথে লড়ার ক্ষমতা নেই গ্রামীন ভারতের, মত কৃষি বিজ্ঞানীদের
করোনার সাথে লড়ার ক্ষমতা নেই গ্রামীন ভারতের, মত কৃষি বিজ্ঞানীদের
টানা ২১ দিনের লকডাউনের পর আরও বাড়তে চলেছে কোয়ারানটাইনের সময়সীমা, ফলত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিকরা আটকে পড়ায় শীতকালীন শস্যের চাষ প্রায় বন্ধের মুখে, চরম আর্থিক ক্ষতি ও খাদ্যাভাবের দিকে এগোচ্ছে ভারত।
ক্ষতি রুখতে আর্থিক দাওয়াই কেন্দ্রের
পরিযায়ী শ্রমিক ও ভিনরাজ্যের কৃষকদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিকাজ বন্ধ রেখে ১.৭ লক্ষ কোটির আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করে। প্রখ্যাত কৃষিবিদ ও ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক এমএস স্বামীনাথন জানিয়েছেন, গ্রাম্যভারতের পরিকাঠামো এখনও পর্যন্ত করোনা মহামারীকে ঠেকিয়ে রাখার উপযোগী নয়, তবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সাহায্য ছাড়া এই অবস্থার মোকাবিলা সম্ভব নয়।
কৃষিক্ষেত্রে দুর্গতির বিষয়ে এমএস স্বামীনাথন কী জানাচ্ছেন
বর্তমান সময়ে শস্য নষ্ট হওয়া থেকে কৃষকদের শস্য পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে এম এস স্বামীনাথন জানিয়েছেন, "শাকসবজি, ফলমূল, ফুল প্রধানত সাধারণ সময়েও হিমঘরে রাখা হয়, সেখানে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ড ও ন্যাশনাল ডেয়ারী ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর পরিকাঠামো গঠনে এগিয়ে আসা উচিত।"
জাতীয় ক্ষতির বিষয়ে এমএস স্বামীনাথনের বক্তব্য
এমএস স্বামীনাথনের মতে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমিকের ঘাটতি রুখতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মত উন্নত যন্ত্রপাতির প্রয়োগ বাড়াতে হবে এবং সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির এগিয়ে আসা উচিত। আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক দুর্গতি কমানোর জন্য সরকারকে ১.৭ লক্ষ কোটির তহবিলকে ব্যবহার করতে হবে।
সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রমিকদের কাছে কিভাবে পৌঁছাবে সাহায্য
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র হোক বা সামাজিক মাধ্যম, পঞ্চায়েত হোক দূরদর্শন - প্রত্যেক মাধ্যমের উপর ভর করে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সরকারি প্রকল্পকে ব্যাখ্যা করতে হবে, এমনটাই মত স্বামীনাথনের। তিনি আরও জানান, "জাতীয় সুরক্ষা আইনের আওতায় আমরা প্রত্যেকে। তাই খাদ্য নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।"
মহামারীর জেরে অর্থনীতি তলানিতে, কি বলছেন স্বামীনাথন
বর্তমান মহামারীর আবহে কর্মীছাঁটাই নিত্যদিনের ঘটনা হতে চলেছে এবং এই শ্রমিকদের বাঁচাতে গেলে একদম পঞ্চায়েত স্তর থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে, জানান স্বামীনাথন। তাঁর মতে, "১৯৬০ সালে ভারত মহামারী এড়িয়েছিল তাৎক্ষণিক আইন প্রণয়ন ও কঠোর সতর্কতার মাধ্যমে, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলায় সেই পথই অবলম্বন করতে হবে।"
লকডাউনে ধুঁকছে দেশ, অর্থনৈতিক সংকট ঠেকাতে ফের চালু হতে পারে ১৫টি শিল্প