ফের বিতর্কে স্পাইসজেট, দিল্লি বিমানবন্দরে বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার পর টার্মিনালে হেঁটে গেলেন যাত্রীরা
ফের বিতর্কে স্পাইসজেট, দিল্লি বিমাববন্দরে বাসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার পর টার্মিনালে হেঁটে গেলেন যাত্রীরা
ফের বিতর্কের শিরোনামে স্পাইসজেট। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট ধরে অপেক্ষার পরেও যাত্রীরা বাসের দেখা পেলেন না। তাই বাধ্য হয়েই রাতের অন্ধকারে পায়ে হেঁটে টার্মিনালে পৌঁছলেন যাত্রীরা। শনিবার রাতে দিল্লি বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্ধকারে যাত্রীদের ট্যারমাক ধরে হেঁটে যাওয়ার একধিক ভিডিও ও ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ডিজিসিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
কী হয়েছিল শনিবার রাতে
স্পাইসজেটের একটি বিমান রাত ১১.২৪ মিনিটে হায়দরাবাদ থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের একাংশকে সংস্থার একটি বাস বিমানবন্দর থেকে টার্মিনালে পৌঁছে দেয়। কিন্তু বাকি যাত্রীদের একাংশকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিমানসংস্থার তরফে কোনও বাস আসেনি। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর যাত্রীরা টারম্যাক ধরে হাঁটতে থাকেন।
বিমান সংস্থার পাল্টা দাবি
বিমান থেকে নামার পর যাত্রীদের আনতে প্রথম বাসটি সঠিক সময়ে পৌঁছে যায়। কিন্তু সমস্যা হয় দ্বিতীয় বাসের ক্ষেত্রে। দ্বিতীয়বাস পৌঁছতে একটু দেরি করে। সেই সময় যাত্রীরা জোর করে টারম্যাক ধরে হাঁটতে থাকেন। বার বার অনুরোধ করার পরেও তাঁরা অপেক্ষা করতে সম্মত হননি। তবে দ্বিতীয় বাস আসার পরে সমস্ত যাত্রীদের বাসে তুলে নেওয়া হয়। তাঁদের টার্মিনাল অবধি পৌঁছে দেওয়া হয়। বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বাস আসার আগে অবধি কয়েক মিটার তাঁরা এগিয়েছিলেন। তারমধ্যেই দ্বিতীয় বাসটি চলে আসে।
ডিজিসিএ-এর তদন্তের নির্দেশ
ডিজিসিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, এটা নিরাপত্তাজনিত ঘটনা। কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না। তবে কীভাবে যাত্রীরা টারম্যাক বরাবর হেঁটে গেলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। টারম্যাক যান চলাচলের জন্য। এখানে হাঁটা নিষিদ্ধ। ডিজিসিএ জানিয়েছে, কতক্ষণ যাত্রীরা নির্দিষ্ট বাসের জন্য অপেক্ষা করার পর হাঁটতে শুরু করেছিলেন, এই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ডিজিসিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে।
তলানিতে স্পাইসজেটের জনপ্রিয়তা
সস্তার বিমান সংস্থা হিসেবে একসময় স্পাইসজেট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। কিন্তু বর্তমানে স্পাইসজেটের পরিষেবা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠকে শুরু করেছে। স্পাইসজেটের পরিকাঠামোগত বিষয়েও একাধিক সমস্যা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ১৮দিনের মধ্যে স্পাইসজেটের পরিষেবা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আটটা রিপোর্ট জমা পড়ে। এরপরেই সরকার স্পাইসজেটকে সতর্ক করে। ১৯ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত স্পাইসজেটের বিভিন্ন বিমানে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ার ফলে তাদের মোট বিমানের ৫০ শতাংশ ওড়ার অনুমতি পায়নি বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ডিজিসিএ ২৭ জুলাই তাদের মোট বিমানের মাত্র ৫০ শতাংশকে আট সপ্তাহের জন্য ওড়ার নির্দেশ। বাকি বিমান স্পাইসজেট চালাতে পারবে না আট সপ্তাহ বলে জানা গিয়েছে।