লক্ষ্য ২০১৯-এর লোকসভা! ত্রিপুরায় প্রস্তুতি শুরু বিজেপির
ত্রিপুরার নির্বাচনে বামফ্রন্টের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর এবার বিজেপির নজরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। ত্রিপুরা থেকে সিপিএম-এর হাতে থাকা দুটি লোকসভা আসন এবার ছিনিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর ত্রিপুরা বিজেপি।
ত্রিপুরার নির্বাচনে বামফ্রন্টের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর এবার বিজেপির নজরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। ত্রিপুরা থেকে সিপিএম-এর হাতে থাকা দুটি লোকসভা আসন এবার ছিনিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর ত্রিপুরা বিজেপি।
বিজেপির সংগঠনের উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অজয় জামওয়াল চারদিনের সফরে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেন। এবং ক্যাডারদের লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করার কথা বলেন তিনি।
রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ত্রিপুরার দুটি লোকসভা আসনের জন্য জোরদার প্রচেষ্টায় নামবে বিজেপি। এমন কী সংগঠনেও পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এরই মধ্যে ত্রিপুরা সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকার এবং দলের কাজকে আরও সুদৃঢ় করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজেপির ৪২ হাজারের বেশি তৃণমূল পর্যায়ের পার্টি কর্মী, পৃষ্ঠ প্রমুখ কিংবা পান্না প্রমুখ কিংবা পান্না প্রভারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরএসএস এই পৃষ্ঠ প্রমুখের রূপ দেয়। এক একজনকে প্রায় ৬০ জন ভোটারের দিকে নজর দিতে হয়। উত্তর প্রদেশ ও গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভের ক্ষেত্রেও এই পৃষ্ঠ প্রমুখরা মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র মৃণাল কান্তি দেব জানিয়েছেন, ত্রিপুরার ৩২১৪টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির দিকে তাকিয়ে বুথ লেভেল কর্মী এবং পৃষ্ঠ প্রমুখদের সক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
১৯৯৬ সাল থেকে পর পর ছটি সংসদীয় নির্বাচনে ত্রিপুরা থেকে দুটি আসনেই জয়ী হয়ে আসছে সিপিএম।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৬৪ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ৫.৭ শতাংশ ভোট। তবে বিধানসভায় বিজেপি পায় ৪৩ শতাংশ এবং তাদের সহযোগী আইপিএফটি পেয়েছিল ৭.৫ শতাংশ ভোট। আর বামফ্রন্ট পেয়েছিল ৪৫ শতাংশ ভোট।