মস্কোয় আলোচনাই সার, সেই তিমিরে লাদাখ পরিস্থিতি, এখনও একই অবস্থানে লালফৌজ
মস্কোয় আলোচনাই সার, সেই তিমিরে লাদাখ পরিস্থিতি, এখনও একই অবস্থানে লালফৌজ
লাদাখে এখনও সেই আগের মেজাজেই দেখা যাচ্ছে লালফৌজকে। অথচ মস্কোয় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে সীমান্তে শান্তি স্থাপন কীভাবে করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। একদিকে যখন চিনের বিদেশমন্ত্রী শান্তি স্থাপনের কথা বলছেন অন্যদিকে সীমান্তে আস্ফালন জারি রেখেছে লালফৌজ।
সীমান্তে আস্ফালন
এখনও সীমান্তে আস্ফালন জারি রেখেছে লালফৌজ। নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুল সরতে নারাজ তারা। শান্তি স্থাপনের কোনও রকম উদ্যোগ লালফৌজের মধ্যে দেখা যায়নি। উল্টে গত ৪৮ ঘণ্টায় প্যাংগং সো এলাকায় শক্তি বাড়িয়েছে চিনা ফৌজ। নিজেদের আরও বেশি করে প্রস্তুত করে তুলছে তারা।
শান্তি স্থাপনের আলোচনা
গতকাল মস্কোয় দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে হাইভোল্টেজ বৈঠক হয়। তাতে দুই দেশের মধ্যে লাদাখে শান্তি স্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে সীমান্তে শান্তি স্থাপন করা যায় তা নিয়ে ৫টি পয়েন্টে আলোচনা হয়েছে। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যেই আলোচনা এগিয়েছে দুই দেশের মধ্যে।
চিনকে বার্তা জয়শঙ্করের
গতকােলর বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রীকে বলেছিলেন, লাদাখের পরিস্থিতির জন্য দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি হচ্ছে। তাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান জরুরি। এতে দুই দেশেরই মঙ্গল হবে। কারণ সীমান্তের অশান্তির কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে।
চিনের পাল্টা দাবি
এদিকে আবার বেজিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সীমান্তে উস্কানি বন্ধ না হলে লাদাখে শান্তি ফিরবে না। এর আগেও ভারতের বিরুদ্ধে লাদাখ সীমান্তে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল চিন। ভারতীয় সেনার লাগাতার উস্কানির কারণেই নাকি লালফৌজ প্রতিরোধ গড়তে বাধ্য হয়েছে।