রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাচ্ছে ভারত
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। বৃহস্পতিবার বিমানে এই ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রামে। সেখানে বাংলাদেশের সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেবে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। বৃহস্পতিবার বিমানে এই ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রামে। সেখানে বাংলাদেশের সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেবেন বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
[আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে 'আধার'-এর শরণাপন্ন বাংলাদেশ]
রোহিঙ্গা সমস্যা জটিল আকার ধারণ করায় মায়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে ভারতকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ। এরপর ত্রাণ সামগ্রিও চেয়ে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি বিচার করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি উড়ে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সেখানে বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেন আলিও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ভারত সরকারের সঙ্গে। রোহিঙ্গা সমস্য়া বাংলাদেশের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক, তা বোঝান তিনি। মায়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করতেও অনুরোধের সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতেও অনুরোধ করেন তিনি।
মানবিকতার খাতিরেই বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েদেন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর। বুধবারই বাংলাদেশ ফিরে যান ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বাংলাদেশের অস্থায়ী শিবিরগুলিতে এই ত্রাণ শিবিরগুলিতে কীভাবে কত দ্রুত ত্রাণ পাঠানো যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ত্রাণ সামগ্রির মধ্যে খাদ্য ছাড়াও থাকছে, ওষুধ এবং অস্থায়ী শিবির তৈরির সরঞ্জাম।
এর আগে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। দেশেও বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী সরকার। এই অবস্থায় ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারত বোঝানোর চেষ্টা করছে, রোহিঙ্গা শরণার্তীদের ভারতে চলে আসার ঘটনা নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিপজ্জনক হলেও বিষয়টিকে মানবিক দিক দিয়েই দেখা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী। তাদেরকে ফেরৎ পাঠানো হবে। জম্মু-কাশ্মীরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আইএসআই জাল বিছিয়েছে বলেও অভিযোগ গোয়েন্দাদের। সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা দেশের নিরাপত্তার পক্ষেও বিপজ্জনক বলে মত সরকারের।
কিন্তু ভাল সম্পর্কের জন্যও রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের আবেদনও ফেলতে পারেনি ভারত। ভারত যে তাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু , ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ দিতে চাইছে ভারত সরকার।