মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নৈশভোজে থাকবেন না অধীর ! কোন প্রতিবাদে অনড় কংগ্রেস নেতা
অধীর যাচ্ছেন না ট্রাম্পের নৈশভোজে! কোন প্রতিবাদে অনড় কংগ্রেস নেতা
রাত পোহালেই ভারতের মাটিতে প্রথমবার পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার আগে শেষ মুহূর্তের ব্যস্তকতার ছবি আগ্রা থেকে মোতেরা পর্যন্ত। দিল্লি এই মুহূর্তে তপ্ত সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর ঘিরে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নৈশভোজ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুলকালাম।
প্রতিবাদে মুখর মুর্শিদাবাদের 'রবিন হুড'
২৫ ফেব্রুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আপ্যায়ন করতে রাষ্ট্রপতির তরফে এক বিশেষ নৈশভোজের আয়েজন করা হয়েছে। আর সেখানেই যাচ্ছেন না বাংলার দাপুটে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আর যে ঘটনার প্রতিবাদে তিনি এই নৈশভোজে যাচ্ছেন না, তা নিয়ে মুখ খুলতেই বিস্ফোরক বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা অধীর।
কেন নৈশভোজ বয়কট অধীরের?
'আমাদের নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হলেন দুনিয়ার বড় গণতন্ত্রের নেতা আর মোদী প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশকে। গণনতন্ত্রের অমেক ধরনের মানে আছে,... যার মধ্যে ভদ্রতাও একটি দিক। যখন মোদী মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন, তখন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দুটি পার্টিই হাউডি মোদীর পোডিয়ামে ছিল।' এমন বক্তব্য রেখে অধীর চৌধুরী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে , কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি বলেই অধীর যাচ্ছেন না ট্রাম্পের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে।
মোদী বনাম কংগ্রেস দ্বন্দ্ব
অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস নেত্রীকে আমন্ত্রণ না পাঠানো কংগ্রেসকে অপমান করার শামিল। তাই এই নৈশভোজে তিনি থাকবেন না। পাশাপাশি , তাঁর দাবি, গণতন্ত্র যদি এখন মোদীর পথে চলে, তাহলে সরকার পক্ষের জানা উডিত যে কংগ্রেসে এই গণতান্ত্রিক দেশের ১৩৪ বছর পুরনো একচি দল। বিশ্বের সমস্ত দেশই কংগ্রেসকে চেনে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে ওই নৈশভোজো তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান অধীর।
কোটি কোটি টাকা নষ্ট
অধীর চৌধুরীর দাবি, ট্রাম্প আসার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার আসল ফলাফল শূন্য। আর এতে ট্রাম্প যেন 'বিক্রেতা' আর মোদী যেন 'ক্রেতা', এমনই একটি ভাবনা উঠে আসছে। এভাবেই মোদী শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন অধীর।