রামমন্দির তৈরিতে তৎপরতা কেন্দ্রের, বিষয়টির তদারকির জন্য নিয়োগ করা হল অতিরিক্ত সচিব
অযোধ্যা সংক্রান্ত সব বিষয় সামলাতে সচিব পর্যায়ের আরও একজন আধিকারিককে নিযুক্ত করল কেন্দ্র। কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আগামী চার মাসের মধ্যে গগণচুম্বী রামমন্দির নির্মিত হবে অযোধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র। নিযুক্ত অতিরিক্ত সচিবের নাম জ্ঞানেশ কুমার।
সুপ্রিম রায়
৯ নভেম্বর বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। এবং তা তৈরির জন্য তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা বেআইনি ছিল। এছাড়া মুসলিমপক্ষকে অযোধ্যাতেই পাঁচ একর জমি দিতে বলে শীর্ষ আদালত।
মন্দির তৈরির ট্রাস্ট গঠনে তৎপরতা
এদিকে মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখালেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিজেপির কোনও নেতাই মন্দির নির্মাণের ট্রাস্টে থাকবেন না। পাশাপাশি তিনি জানান, মন্দির নির্মাণের জন্য এক টাকাও দেবে না সরকার। তাঁর কথা, ১০০ কোটির এই মন্দির তৈরিতে প্রয়োজনীয় অর্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে 'ক্রাউড ফান্ডিং' করেই তুলতে হবে।
মসজিদের জন্য পাঁচটি জমি শনাক্ত যোগী সরকারের
অযোধ্যার রায়দানের সময় উত্তর প্রদেশ সরকারকে মসজিদ তৈরির জন্য আলাদা করে ৫ একজর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই অবশেষে মসজিদ তৈরির জন্য ৫টি জায়গায় জমি চিহ্নিত করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। মির্জাপুর, শামসুদ্দিনপুর, চাঁদপুরে এই পাঁচটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সম কটি জমিই পঞ্চকোশি পরিক্রমার বাইরে। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে এই জমি দেখার জন্য অনুরোধ জানাবে যোগী সরকার। অবশ্য তার আগে ট্রাস্টি তৈরি করতে হবে।