অভিযুক্ত বলছে ধর্ষণ, 'ধর্ষিতা' বলছে না! বেদম জ্বালা পুলিশের
হরিশচন্দ্র কানোরকার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ৫৫ বছরের এক মহিলা। তাঁর দাবী এই ঘটনায় গর্ভবতী হয়ে পড়ে তাঁর মেয়ে। সম্প্রতি এক পুত্রসন্তানেরজন্মও দিয়েছে সে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রপানি নগরের বাড়ি থেকে হরিশচন্দ্রকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগও স্বীকার করে নেয় সে। এদিকে বেঁকে বসে সদ্য মা হওয়ায় নাবালিকা মেয়েটি। স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা।
কে সত্যি কথা বলছে তা নিয়েই সংশয়। তাই সদ্যোজাতের বাবা কে তা জানতে অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করানোরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও পীড়িতা কেন ওই ব্যাক্তিকে বাঁচাতে চাইছে তা হাজার চেষ্টা করেও বুঝতে পারছে না তদন্তকারী অফিসাররা। পুলিশসূত্রের খবর, ওই মেয়েটি জানিয়েছে রাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে রাম। যদিও তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান পুলিশকে ভুল পথে চালিত করার জন্যই এইসব গল্প বলছে মেয়েটি।
অভিযোগকারিনী মহিলার দাবী, ২০০৮ সালে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই মেয়ে আলাদা থাকে। দাদা বিবেচনা করে পড়াশোনার খাতিরেই হরিশচন্দ্রের বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে গত ৫ বছর ধরে একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল।
ওই মহিলা পুলিশকে জানায়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর মা ও মেয়ের খেয়াল রাখত হরিশই। কাজের সূত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই বাইরে বেরতে হয় বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গত মাস থেকে মায়ের বাড়িতেই থাকছে মেয়ে। গত ২৮ নভেম্বর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে তার। মাকে না বলে হরিশচন্দ্রকে খবর দেয় সে। হরিশচন্দ্রই তাকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় সে। এই ঘটনায় কোনও কিছু ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে কি না তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।