১৫২টি জেতা আসন হারাবে বিজেপি! অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন মোদী
line: ১৫২টি জেতা আসন হারাবে বিজেপি! ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন মোদীSynopsis : উপনির্বাচনে একের পর এক হারের ধাক্কা তো ছিলই, তার উপর দোসর হয়ে জুটল দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে মাথায় হাত পড়া
উপনির্বাচনে একের পর এক হারের ধাক্কা তো ছিলই, তার উপর দোসর হয়ে জুটল দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে মাথায় হাত পড়ার জোগাড় মোদী-অমিত শাহদের। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনায় বড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল এই সমীক্ষার ফলে।
২০১৯-এ অগ্নিপরীক্ষায় বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীকে দিল্লির কুর্সি থেকে হটাতে বিরোধীরা ক্রমেই এককাট্টা হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে যে সমীকরণ দেখেছে রাজনৈতিক মহল, তারপর মোদীর ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা যে চ্যালেঞ্জের মুখে তা বলাই যায়।
তারপর উপনির্বাচনেও বিরোধী জোটের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে বিজেপিকে। যার ফলে দলের অন্দরে প্রবল চাপে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের তত্ত্ব। এই অবস্থায় বিজেপি তাদের জেতা ২৮২টি আসনে সমীক্ষা শুরু করেছিল বিজেপি। সেই সমীক্ষা রিপোর্টে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে বিজেপির সাফল্যের আকাশে। সেই মেঘ সরিয়ে ফের ক্ষমতায় ফেরা বিজেপির কাছে ক্রমশই দুরুহ হয়ে উঠছে।
বিজেপির রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার পক্ষে এই রিপোর্টই যথেষ্ট। একইভাবে কংগ্রেস ও বিরোধী শিবিরকে উৎসাহিত করবে এই রিপোর্ট। কেননা বিজেপি তাদের জেতা যে ২৮২টি আসনে সমীক্ষা চালিয়েছিল, তার মধ্যে ১৫২টি আসনেই হারের মুখে রয়েছে তারা। অর্থাৎ বিজেপি মাত্র ১৩০টি আসনে জিততে পারে। জেতা আসনেই যদি দলের জনপ্রিয়তা এতটা কমে যায়, তবে বিজেপি কী করে উত্তীর্ণ হবে এই অগ্নিপরীক্ষায়? সেই প্রশ্নেই মোদী-শাহদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রণব মুখোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী বানানোর চেষ্টায় আরএসএস! কী বলছে বিজেপির সঙ্গী দল]
২০১৪ সালের একাই ২৮২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বিজেপির জেতা সেই আসনগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে জনপ্রিয়তা কমেছে মোদী অ্যান্ড কোং-এর। তার মধ্যে ১৫২টি আসনের রিপোর্ট সাংসদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এখন ভোট হলে তাঁরা পরাজিত হবেন, এমন ইঙ্গিত বহন করছে সমীক্ষা রিপোর্ট।
জাতীয় স্তরে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই সমীক্ষা রিপোর্ট। আর এই অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট হাতে পেয়ে গভীর চিন্তায় মোদী। সেই কারণেই এনডিএ-র দলগুলিতে ফের গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে বিজেপি। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই সমীক্ষা রিপোর্টের পরই ফের শিবসেনাকে জোটে সামিল করতে তৎপর হয়েছে তারা। সম্প্রতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ।
এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, কোন রাজ্যে কত আসন হারাতে চলেছে বিজেপি, তাও স্পষ্ট হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে ৪৮টি, মধ্যপ্রদেশে ১৬টি, মহারাষ্ট্রে ১৭টি, বিহারে ১২টি ঝাড়খণ্ডে ৫টি, হরিয়ানায় ৭টি, উত্তরাখণ্ডের ৩টি ও অন্যান্য রাজ্যগুলির ৪৪টি আসন বিজেপি পরাজিত হতে পারে। এই সমীক্ষা রিপোর্টে বিজেপির ১৫২ জন সাংসদস ডাহা ফেল করেছেন। সেই কারণেই এখন থেকে বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে বিজেপি।