দিল্লি হাইকোর্টে রক্ষাকবচ মিলল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরার! ইডির ডাকে দিতেই হবে হাজিরা
আদালতে রক্ষাকবচ মিলল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হাজিরার নিদেশের বিরোধিতা করে দিল্লির হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সস্ত্রীক তৃণমূলের সর্ব ভার
আদালতে রক্ষাকবচ মিলল না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হাজিরার নিদেশের বিরোধিতা করে দিল্লির হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সস্ত্রীক তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই আবেদনে দিল্লি হাই কোর্ট তাঁদের অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিল না। ফলে দিল্লিতেই হাজিরা দিতে হবে তাদের। আদতে এই মামলায় অভিষেক ও রুজিরাকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি । সেই সমনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন তাঁরা।
কলকাতার ইডি অফিসে না ডেকে কেন দিল্লি অফিসে ডাকা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ ব্যাপারে ইডি-র কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। পরে দু'জনেরই অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ করে দেওয়া আদালের তরফে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সেদিন মামলা কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে সবপক্ষ। উল্লেখ্য, রাজ্যে কয়লা পাচার-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বিষয়টিও দেখছে কেন্দ্রীয় আরও একটি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যে এই মামলাতে গত কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছে ইডি।
দিল্লিতে ইডির দফতরে প্রায় নয় ঘন্টা জেরা করা হয় তাঁকে। বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে জেরা করা হয়। কলকাতায় ফেরার কয়েকদিনের মাথাতে বেশ কিছু নথি চেয়ে ফের অভিষেককে তলব করে ইডি। পাল্টা তদন্তকারীদের অভিষেক জানান, তাঁর পক্ষে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয়।
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে রক্ষাকবচ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। শুধু তিনি নন, আদালতে মামলা করে স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। উল্লেখ্য কয়লা পাচার-কাণ্ডে তাঁকে জেরা করতে চায় ইডি। সেই সংক্রান্ত নোটিশ এসেছে তাঁর কাছেও। কিন্তু করোনার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি রুজিরা।
তবে এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই সময়ে না হলেও কাছাকাছি সময়ে দিল্লিতেই বাকি চিলেন রুজিরা।
তবে বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা নিয়ে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাজনৈতিকভাবে অভিষেকের সঙ্গে পেরে না উঠেই এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই হেনস্তা করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এই মামলা কেন দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ হুঁশিয়ারি, বাড়ির লোককে হেনস্তা করলে বস্তা বন্দি করে ফাইল পাঠানো হবে দিল্লিতে। যেখানে বাংলার বিজেপি নেতাদের কুকীর্তি রয়েছে। শূধু তাই নয়, ভোটের সময় কোন বিজেপি নেতা কোন কয়লা মাফিয়ার হোটেলে উঠেছিল সেই বিষয়ে তথ্য রয়েছে বলে দাবি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।