আস্থা ভোটে শিন্ডের বিরোধিতা, ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হতে পারে আদিত্য ঠাকরেকে!
আস্থা ভোটে শিন্ডের বিরোধিতা, ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হতে পারে আদিত্য ঠাকরেকে!
এবার শিবসেনার বিধায়কদের পাল্টা চাপ দিতে শুরু করলেন বিদ্রোহী বিধায়করা। আদিত্য ঠাকরে অযোগ্যতার মুখোমুখি হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিন্ডে শিবিরের নির্বাচিত চিফ হুইপ একনাথ শিন্ডেকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার রাহুল নারভেকর চিফ হুইপকে অনুমোদন দেন। আদিত্য ঠাকরে চিফ হুইপের নির্দেশ অমান্য করে শিন্ডের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে অযোগ্যতার সম্মুখীন হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে শিবসেনা
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে আদিত্য ঠাকরের বাবা উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি একনাথ শিন্ডে ও আরও ১৫ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণার করার নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে আদিত্য ঠাকরেকে অযোগ্যতার মুখোমুখি হতে হবে কি না। শিবসেনার বিদ্রোহীদের নতুন হুইপকে বিধানসভার নতুন স্পিকার অনুমোদন দিয়েছেন। নতুন স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ঠাকরের মামলাটি আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে। শিবসেনার তরফে জানানো হয়েছে, শিন্ডে ও ১৫ জন বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করার বিষয়ে আদালত এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন স্পিকার কীভাবে বিদ্রোহীদের নতুন হুইপকে অনুমোদন দিতে পারে। আদালত যদি শিন্ডে ও বাকি ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করে, বিপাকে পড়বে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার।
আস্থাভোটে জয়ী একনাথ শিন্ডে
শিবসেনার বেশিরভাগ বিধায়ক বর্তমানে একনাথ শিন্ডেকে সমর্থন করছেন। আস্থাভোটে একনাথ শিন্ডে ১৬৪টি ভোট পেয়েছেন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল মহা বিকাশ আঘাদি জোটকে বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। সেই নোটিশের স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিবসেনা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট শিবসেনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। সেদিন রাতেই মুখমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন উদ্ধব ঠাকরে। পরের দিনই মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপি একনাথ শিন্ডের নাম ঘোষণা করে। একনাথ শিন্ডের আস্থা ভোটে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল।
শিবসেনার কর্মীদের উদ্দেশে উদ্ধব ঠাকরের বিবৃতি
একনাথ শিন্ডের আস্থা ভোটের প্রাক্কালে শিবসেনার সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'শিবসেনাকে শেষ করার জন্য এটা বিজেপির চক্রান্ত। আমি জনগণের আদালতে যেতে চাই। রাজ্যে আবার নির্বাচন হোক। মানুষ যদি মনে করে আমরা ভুল করেছি, ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে তা প্রকাশিত হবে। আর যদি রাজ্যের জনগণ মনে করে তারা (বিজেপি ও শিন্ডে গোষ্ঠী) ভুল করেছে, রাজ্যের মানুষ ফলাফলে তা বুঝিয়ে দেবেন।'
বেকারত্ব বাড়ছে আর প্রধানমন্ত্রী বিদেশে বন্ধুদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করছেন, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর