Aadhaar-Voter ID Linking: একের বেশি ভোটার কার্ড রয়েছে? কখনই প্রতিবেদনটি এড়িয়ে যাবেন না
নির্বাচনে ভুয়ো ভোটার ধরতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মোদী সরকারের! নয়া বিলে অনুমোদন মন্ত্রিসভার। আর নয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামিদিনে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরে যুক্ত করা হবে। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এমনটাই বড় স
নির্বাচনে ভুয়ো ভোটার ধরতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মোদী সরকারের! নয়া বিলে অনুমোদন মন্ত্রিসভার। আর নয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামিদিনে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরে যুক্ত করা হবে। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এমনটাই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের।
আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিঙ্ক করানো হলে আগামীদিনে ভুয়ো ভোটার একদিকে যেমন ধরা যাবে আবার ভোটার কার্ড সংক্রান্ত যে কোনও জালিয়াতিও ধরা পড়ে যাবে।
কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?
নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করানোর জন্যে সুপারিশ করে। যাতে ভোটার লিস্টে স্বচ্ছতা আনা যায়। শুধু তাই নয়, ভুয়ো ভোটারও ধরা যাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হলে। শুধু তাই নয়, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক হলে এবার থেকে আর কোনও নাগরিক অতিকরিক্ত ভোটার কার্ড রাখতে পারবে না। আর রাখলে তা সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যাবে। নির্বাচন প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতা আনতে এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।
ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যোগ হলে কি হবে
অনেক সময়ে দেখে যায় কোনও ব্যক্তির ভোটার কার্ড এক জায়গার আর অন্য জায়গাতে দিনের পর দিন থাকতে শুরু করেছেন। আর অন্য শহরে থাকার জন্যে সেখানেও আরও একটি কার্ড বানিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। প্রথমটি বাতিল না করেই এই কাজ হয়। ফলে দুটি অন্যত্র জায়গাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দুটি ভোটার কার্ড হয়ে যায়। কিন্তু আধারের সঙ্গে যুক্ত হলে একজন ভোটারের নাম একটা জায়গাতেই থাকবে। ফলে একটি জায়গাতেই ব্যক্তি ভোট দিতে পারবে।
সবাইকেই ভোটার কার্ড আধার লিঙ্ক করতে হবে
তবে এই মুহূর্তে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তবে আগামিদিনে বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। এমনটাই কেন্দ্রীয় সরকার সুত্রের খবর। তবে এখনও ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত করা যাবে।
বছরে চারবার ভোটার কার্ড বানানোর সুযোগ!
প্রস্তাবিত এই বিলে দেশের যুবক-যুবতিদের প্রত্যেক বছর চারটি আলাদা আলাদা তারিখে ভোটার কার্ডে নাম তোলার সুযোগ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ভোটার কার্ডে নাম তোলার ক্ষেত্রে বছরে চারটি তারিখ একেবারে শিরধার্জ হিসাবে ধরে নেওয়া হবে। এখন প্রত্যেক বছর জানুয়ারি কিংবা এর আগে ১৮ বছর হয়েছে এমন যুবক-জুবতীদের ভোটার কার্ডে নাম তোলার সুযোগ রয়েছে। এই সিদ্ধান্তে অনেকেই বাদ পড়ে যেতেন ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে। তবে এতে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৫ সালেও শুরু হয় এই কাজ
নির্বাচন কমিশন ২০১৫ সালেও National Voter List Refinement এবং NERPAP-এর অংশ হিসাবে ভোটার কার্ড এবং আধার সংখ্যা লিঙ্ক করানোর কাজ শূরু করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকা সামনে আসার পর এই কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন করে ফের এই কাজ শুরু হতে চলেছে। সুত্রের খবর, মাসখানেকের মধ্যেই হয়তো এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সরকার দিতে পারে।
এই নিয়োম কি লাঘু হয়ে গিয়েছে?
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সুপারিশকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এবার এই বিল সংসদের দুই জায়গা লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে পেশ করা হবে। এই বিল দুই জায়গাতেই পাশ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্যে পাঠানো হবে। আর সেখানে অনুমোদন পাওয়ার পরেই এই আইনে পরিণত হয়ে যাবে।