জেএনইউতে হামলার পিছনে এবিভিপি, স্টিং অপারেশনে উঠে এল আসল সত্যি
রবিবার হামলার রাতের কোনও সিসিটিভি সিসিটিভি ফুটেজ এখনও পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখেই দিল্লি পুলিশ ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনেছে জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে।
দিল্লি পুলিশ তদন্তের পর এসএফআই, আইসা সহ চারটি বাম ছাত্র সংগঠনের নাম নিলেও এখনও এবিভিপির নাম মুখে আনেনি। অথচ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, থেকে পড়ুয়া সকলে একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ওই দিন হামলার নেপথ্যে ছিল এবিভিপিই। এবার সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুডের স্টিং অপারেশনেও প্রমাণ মিলল তার।
ইন্ডিয়া টুডে টিভি চ্যানেলের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে কমপক্ষে চারজনের নাম, যারা সেদিন মুখ ঢেকে, ডাণ্ডা হাতে জেএনইউ চত্বরে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল। বর্তামানে তারা সেটা খোলাখুলি জাহির করতেও দ্বিধাগ্রস্ত নয়। কারণ, সেই রাতে জেএনইউ–তে মোতায়েন পুলিশ তাদের সাহায্য করেছিল হামলা বাজরা নিজেরাই জনায়। এক হামলা বাজার স্পষ্টতই জানান পুলিশ বলেছিল— 'ঠোক দো!’ পুলিশই আলো নিভিয়ে দিয়েছিল, যাতে হাঙ্গামা ছড়াতে সুবিধে হয়।
ওই ভিডিওতে হামলাবাজরা নিজেরাই বুক চিতিয়ে স্বীকার করছে, যে তারাই পিটিয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কর্মী–সমর্থকদের। তার মধ্যে অন্যতম অক্ষত অবস্থি। জেএনইউতেই ফরাসি ভাষায় স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। আদতে কানপুরের বাসিন্দা অক্ষত এবিভিপি–র ঘোষিত কর্মী। ওই দিন জনা চল্লিশের এক দলকে হামলার সময় নেতৃত্ব দিয়েছিল বলে জানায় অক্ষত। তার মধ্যে অনেক বহিরাগত এবিভিপি সমর্থকও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও এরপরই আসরে নামে এবিভিপি। তাদের মতে ওটা ওই টিভি চ্যানেলের 'চক্রান্ত’। সব অভিযোগই অভিযোগ মিথ্যে। আর অক্ষত তাঁদের সদস্যও নয়।