তার ছিঁড়েই ভেঙে পড়েছে মোরবি ব্রিজ! প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন
তার ছিঁড়েই ভেঙে পড়েছে মোরবি ব্রিজ! প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়লে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা, নৌবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালায়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ে এই বিপর্যয় ঘটে।
|
ছিঁড়ে গিয়েছে সেতুর তার
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, মোরবি সেতুর তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে এই বিপদ হয়। প্রায় সাত মাস এই ঝুলন্ত সেতুটি মেরামতের জন্য বন্ধ ছিল। চারদিন আগেই খুলে দেওয়া হয়। শনি ও রবিবার ব্যাপক ভিড় হয় বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আইপিসি ৩০৮, ৩০৪ ও ১১৪ ধারার অধীনে একটি মামলা শুরু করা হয়েছে। তবে এপআইআরে কোনও নাম নেওয়া হয়নি। গুজরাত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছিল না পৌরসভার অনুমতি
মাচ্ছু নদীর ওপর সেতুটি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। পৌরসভার তরফে এই সেতুটিকে ব্যবহারের উপযুক্ত বলে কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। সংস্কারের পর কার নির্দেশে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। মোরবি পৌরসভার প্রধান আধিকারিক সন্দীপ সিংহ জালা বলেন, পৌরসভার তরফ থেকে এখনও সেতুটি খোলার জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পৌরসভা মেরামতের পরেও কোনও শংসাপত্র দেয়নি। সাত মাস আগে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটি বেসরকারি সংস্থা সেতুটির মেরামত করে। এরপর চারদিন আগে সেতুটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত পর্যটক সেতু ভাঙার কারণ!
মাচ্ছু নদীর ওপর এই সেতুটি শতাব্দী প্রাচীন। অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান ছিল এই ঝুলন্ত সেতু। ১৫ টাকা টিকিটে কাটতে হতো সেতুটি যাওয়ার জন্য। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সেতুটির ধারণ ক্ষমতা যখন ১০০ জনের ছিল, সেখানে অতিরিক্ত ৪০০টি টিকিট বিক্রি করা হল। প্রবল ভিড়ে চাপ সহ্য করতে না পেরে সেতুটি ভেঙে পড়ে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
অমিল ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা
মোরবিতে অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান শতাব্দী প্রাচীন এই সেতু। শনি ও রবিবার ভিড় হবে, তা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দুর্ঘটনার খানিক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে উপছে পড়া মানুষ দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যখন শনি-রবিবার বেশি ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে কেন ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা করা হল না।
টিআরএসের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের কোনও প্রশ্নই নেই, ভারত জোড়ো যাত্রায় সমালোচনা রাহুল গান্ধীর