মহাবীর হনুমানের জন্ম কোথায়, ধর্মসভাতেই সাধুদের হাতাহাতি! ধুন্ধুমার-কাণ্ড
মহাবীর হনুমানের জন্ম কোথায়, ধর্মসভাতেই সাধুদের হাতাহাতি! ধুন্ধুমার-কাণ্ড
বীর হনুমানের জন্ম কোথায়? তা নিয়েই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। আর বিতর্কের জ এমন জায়গায় গড়াল যে হাতাহাতি লেগে গেল ধর্মসভায়। সাধু-সন্তরাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন মহাবীর হনুমানের জন্মস্থান বিতর্কে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের নাসিকে হনুমানের জন্মস্থান নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে গিয়ে হুলুস্থূল পরিস্থিতি।
মহাবীর হনুমানের জন্মস্থান কোথায়, তা নিয়ে সমাধান সূত্রে পৌঁছতে ধর্মীয় সভা আহ্বান করা হয়েছিল নাসিকে। সেই ধর্মসভায় অংশগ্রহণকারী সাধুদের দু'টি দল বসার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিতর্ক জড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
আধ্যাত্মিক নেতা কিষ্কিন্ধা মঠাধিপতি স্বামী গোবিন্দানন্দ সরস্বতীর সাম্প্রতিক দাবির পরে ধর্মসভা ডাকা হয়েছিল। কিষ্কিন্ধা ছিল মহাবীর হনুমানের জন্মস্থান। নাসিকের কাছে অঞ্জনেরিতে তাঁর জন্ম নয়। অথচ ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় নাসিকের অঞ্জনেরিতে তাঁর জন্ম। হনুমানের জন্ম কিষ্কিন্ধায় বর্তমানে তা কর্নাটকের হাম্পি।
কিষ্কিন্ধা মঠাধিপতি স্বামী গোবিন্দানন্দ সরস্বতীর এই সাম্প্রতিক দাবির সঙ্গে যাঁরা একমত নন তাদের প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নাসিকের সাধু ও মহন্তরা একটি ধর্মীয় সভা আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যাইহোক, গোবিন্দানন্দ সরস্বতীর ত্রিম্বকেশ্বর থেকে অঞ্জনেরি যাওয়ার পরিকল্পনা নেন। প্রায় ১৫ কিলোমিটার এই মিছিলের নেতৃত্ব নিয়ে অঞ্জনেরির বাসিন্দারা এবং সাধুরা বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, এটি পরিবেশকে খারাপ করতে পারে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কোন বড় চমক দিতে চলেছেন? নতুন অধ্যায়ে পদার্পণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোবিন্দানন্দ সরস্বতীর আগমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার একদল লোক নাসিক-ত্রিম্বকেশ্বর সড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার ধর্মসভা প্রথমে বসার ব্যবস্থা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়েছিল এবং তারপর একে অপরকে লক্ষ্য করে কটূক্তি ছুড়তে শুরু করেন সাধুরা।
যখন একজন আধ্যাত্মিক নেতা নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন এখানকার বিখ্যাত প্রভু কালারাম মন্দিরের মহন্ত সুধীরদাস তাঁকে 'কংগ্রেসি' বলে অভিহিত করেছিলেন। যার ফলে দুটি গ্রুপের মধ্যে চ়ড়া মেজাজে তর্কতর্কি শুরু হয়। যার ফলে মহন্ত সুধীরদাস হুমকি দিয়ে মাইক স্ট্যান্ড তুলে নেন।
এদিকে গোবিন্দানন্দ সরস্বতীর অনুগামীরা দাবি করেছেন, সভায় তাঁদের মতামত ব্যক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, যার ফলে আরও বিতর্ক বাধে, মৌখিক সংঘর্ষ হয়। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। পুলিশ স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। উপস্থিতদের মধ্যে ছিলেন কৈলাস স্বামী মঠের স্বামী সম্বিদানন্দ সরস্বতী, শৌচে গুরুজি, পুরোহিত সংঘের সভাপতি সতীশ শুক্লা প্রমুখ। এরপর ধর্মসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, একটি নতুন তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।