মুসলিমরা রামলীলা করছেন তিন পুরুষ ধরে! যোগী-রাজ্যেই মিলেছে সংহতির দৃষ্টান্ত
দেশজুড়ে এখন ধর্মীয় বিভাজন। ধর্ম নিয়ে হানাহানি, কাটাকাটি। যোগী-রাজ্য উত্তরপ্রদেশে তো তা আবার অনেকাংশেই বেশি। কিন্তু যোগী-রাজ্যেরই এই ‘বক্সি কা তলব’-এ এলে বুঝতে পারবেন সম্প্রীতি-সংহতির সহাবস্থান কাকে ব
দেশজুড়ে এখন ধর্মীয় বিভাজন। ধর্ম নিয়ে হানাহানি, কাটাকাটি। যোগী-রাজ্য উত্তরপ্রদেশে তো তা আবার অনেকাংশেই বেশি। কিন্তু যোগী-রাজ্যেরই এই 'বক্সি কা তলব'-এ এলে বুঝতে পারবেন সম্প্রীতি-সংহতির সহাবস্থান কাকে বলে। কোনও মারামারি-হানাহানি নেই। নেই দ্বিধা-দ্বন্দ। এখানে হিন্দু-মুসলিমরা একই বৃন্তে দুটি কুসুমের মতোই অবস্থান করে।
তেমনই এক ছবি মিলল নবরাত্রির অনুষ্ঠানে। বরাবর এই 'বক্সি কা তলব'-এ এই বিশেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় রামলীলা। রামলীলায় রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমানদের চরিত্রে অভিনয় করে পুরো একটা মুসলিম পরিবার। সেই ১৯৭২ সাল থেকে খান পরিবারের সদস্যরা রামলীলা উপস্থাপন করে আসছেন। এবারও তার অন্যথা হল না।
উত্তরপ্রদেশে লখনউয়ের মহল্লা 'বক্সি কা তলব'-এর এই ছবি গোটা দেশের কাছে একটা বিশেষ বার্তা বয়ে নিয়ে যায়। ১৯৭২ সাল থেকে এই রামলীলা আয়োজিত হচ্ছে মহম্মদ সাবির খানের পরিচালনায়। সাবির জানান, সেই ১৩ বছর বয়স থেকে আমি এই রামলীলায় অংশ নিচ্ছি। আমাদের রামলীলায় কোনও ধর্মীয় ভেদাভেদ নেই। ভেদাভেদ নেই হিন্দু-মুসলিমের।
Lucknow: A Muslim family has been organising Ramleela since last 3 generations in Bakshi Ka Talab area. Mohd Sabir Khan, one of the artists, says, ”This Ramleela was started in 1972 & since then Hindus & Muslims are a part of it." pic.twitter.com/hCwcjVlsSY
— ANI UP (@ANINewsUP) October 14, 2018
সাবিরের টিমের কথায়, ঈশ্বর তো আমাদের হিন্দু-মুসলিম হিসেবে আলাদা করে দেয়নি। আমরাই নিজেরা নিজেদের আলাদা করে নিয়েছি। সবাই ভুলে যাচ্ছি, সবার আগে আমরা মানুষ। তারপর আমাদের ধর্ম। সবাই মিলেমিশে থাকলে কারও কোনও ক্ষতি হয় না। বরং মানবধর্মের সেবা করাই হয়। নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে নিজেদের ক্ষতিই হয়।
সাবির খান, তাঁর দুই ছেলে, নাতি-নাতনিরা প্রতিবারের মতো এবারও রামলীলায় অংশ নিচ্ছেন। ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে নবরাত্রি। চলবে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এই ১০দিন 'বক্সি কা তলব'-এ হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে মিলেমিশে তেওহার পালন করে। সেখানে হিন্দু-মুসলিমের ভেদাভেদ নেই, জাতপাতের বালাই নেই। এখানে সেবা পায় মানব ধর্ম। বিরাজ করে সম্প্রীতি আর সংহতি।