মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ
নারকীয় শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে। মায়ের কোল থেকে ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণ করে গণধর্ষণ। এখানেই শেষ নয়, এতোটাই পাশবিক অভিযুক্তরা ওই ধর্ষিতা শিশুর মুণ্ডু কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
নারকীয় শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে। মায়ের কোল থেকে ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণ করে গণধর্ষণ। এখানেই শেষ নয়, এতোটাই পাশবিক অভিযুক্তরা ওই ধর্ষিতা শিশুর মুণ্ডু কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। অভিযুক্ত দু'জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার বাসিন্দা শিশুিটর মা, তাঁর স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে এসেছিলেন জামশেদপুরে। গত কয়েকদিন ধরে সেই প্রেমিকের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে জামশেদপুর স্টেশনের প্লাটফর্মেই ছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে একদিন সকালে উঠে দেখেন মেয়ে পাশে নেই। তারপরেই জিআরপিতে অভিযোগ জানান শিশুর মা।
প্লাটফর্মের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতেই জানা যায়, রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত শিশুটিকে মায়ের কোলের কাছ থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এক ব্যক্তি।
তারপররেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা ব্যক্তির সন্ধান শুরু করে পুলিস। এরই মধ্যে মঙ্গলবার স্টেশন থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটি বস্তি এলাকায় প্যাকেটবন্দি শিশুর টুকরো দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু প্যাকেটের মধ্যে শিশুটির মুণ্ডু ছিল না। শেষে পুলিস কুকুরের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও শিশুটির মুণ্ডু খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাকে জেরা করে জানতে পারে তিন বছরের ছোট্ট শিশুটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছিল সে এবং আরও একজন। তারাই প্রমাণ লোপাটে শিশুটির মুণ্ডু কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন শিশুর মায়ের প্রেমিকও রয়েছে। আর একজন সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে একটি শিশুকে অপহরণ করে খুন করার চেষ্টা করেছিল সে।
কয়েকদিন আগেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসির সাজার আইন পাস হয়ে গিয়েছে লোকসভায়। এই ঘটনার নারকীয়তা প্রকাশ্যে আসার পর এখন দেখার বিষয় মোদী সরকারের এই আইন কতটা দ্রুত কার্যকর হয়।
[আরও পড়ুন: আজ উন্নাওয়ের নির্যাতিতার লেখা চিঠির মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে]