Poll Guidelines: বাড়িতে বসেই ভোটদানের সুযোগ করোনা আক্রান্তদের! র্যালি-পদযাত্রাতেও জারি নিষেধাজ্ঞা
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। সাত দফায় ভোট হবে। আর ভট পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। কড়া কোভিড বিধি মেনে ভোট হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। সাত দফায় ভোট হবে। আর ভট পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। কড়া কোভিড বিধি মেনে ভোট হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তবে এই মুহূর্তে দেশে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে তাতে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত রাজনৈতিক র্যালির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে।
একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে
আজ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুশীল চন্দ্রা। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আজ শনিবার থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত রকমের রোড শো, র্যালি, সাইকেল র্যালি এবং পদযাত্রার উপরেও নিশেষাজঙ্গা জারি করা হয়েছে কমিশনের তরফে। ১৫ জানুয়ারির পর পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুশীল চন্দ্রা।
শুধু তাই নয়, রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনও র্যালি করা যাবে না। কোনও স্ট্রিট কর্নার সভা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এছাড়াও জয়ের পরে বিজয় মিছিলেও জারি নিষেধাজ্ঞা।
ভোট দিতে পারবেন করোনা সংক্রমিতরাও
করোনা আক্রান্ত হলেও ভোট দেওয়া যাবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এই সমস্ত রোগীদের জন্যে আলাদা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ফলে করোনা সনহক্রমিত রোগীও নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারবে। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এই সমস্ত রোগীরা ব্যালোটে ভোট দিতে পারবেন। এজন্যে কমিশনের লোকজন বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে করোনা আক্রান্তের বাড়িও পৌঁছে যাবে। সঙ্গে থাকবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার আধিকারিকরা।
করোনা গাইডলাইন নিয়ে কি বলছে কমিশন
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হতে চলেছে দেশে। যা চ্যালেঞ্জের বলে দাবি কমিশনের। নয়া কোভিড প্রটোকল লাগু হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা আক্রান্তরাও এবার ভোট দিতে পারবে। রোগীকে দেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালোটের সুবিধা। ঘরে বসেই করোনা আক্রান্তরা দিতে পারবে ভোট। সমস্ত নির্বাচনী আধিকারিকদের দুটি করে ভ্যাকসিন থাকতেই হবে। করোনা সংক্রমণের দিকে তাকিয়ে সমস্ত পোলিং বুথ একতলাতে করা হবে। বুথের মধ্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার থাকবে। একটা ভোট কেন্দ্রে মাত্র ১২৫০ জন লোক ভোট দিতে পারবে। আর সেই কারনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে ভোটদানের সময়সীমা। যাতে ভিড় না হয় সেদিকে তাকিয়ে এক ঘন্টা অতিরিক্ত সময় বাড়ানো হচ্ছে এবার।
পাঁচ রাজ্যেই সাত দফায় ভোট-
উত্তরপ্রদেশ- ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার ভোট। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে গোয়া, পঞ্জাব, উত্তরাখন্ডে। সেদিন দ্বিতীয় দফার ভোট হবে উত্তরপ্রদেশে। দুই দফায় ভোট মণিপুরে। প্রথম দফায় ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ৩ মার্চ। পাঁচ রাজ্যের গণনা হবে ১০ মার্চ। এমনটাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।