বিমানবন্দরে সিকিওরিটি চেকিং, শীঘ্রই কমতে পারে হ্যান্ডব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করে দেখানোর ঝক্কি
যাত্রী বাড়ছে হু হু করে, নেই যথেষ্ট পরিকাঠামো বা কর্মী। তাই অবস্থা সামাল দিতে বিমানবন্দরগুলিতে হাতব্যাগ পরীক্ষার জন্য থ্রিডি স্ক্যানার বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
যাঁরা বিমানে যাতায়াত করেন, তাদের কাছে সিকিওরিটি চেক এক দুর্বিসহ ব্যাপার। বিশেষ করে ইদানীংকালে ভারতে বিমানযাত্রীর সংখ্যা দুম করে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় প্রায়শই দেখা যায় লম্বা লাইন পড়েছে। এই বিষয়টির মোকাবিলা করতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। এয়ারপোর্টগুলিতে থ্রিডি স্ক্যানার লাগানো হবে, যাতে বাইরে থেকেই যাত্রীর ব্যাগের ভিতরের ত্রিমাত্রিক ছবি ধরা পড়বে।
গত ৫ বছরে ভারতে বিমান যাত্রী বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি কর্মীর সংখ্যা, বাড়েনি পরিকাঠামো। ফলে বিমানবন্দরে নিরাপত্তাজনীত পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে লেগে যাচ্ছে অনেক সময়। পরিকাঠামো হঠাত করে নির্মাণ সম্ভব নয়, অন্তত ৫-৬ বছর তো লাগবেই। তাই প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
লাগানো হবে থ্রিডি স্ক্যানার। যাত্রীর ব্যাগের ত্রিমাত্রিক ছবি ধরা পড়লে, এখনকার মতো ল্যাপটপ, ট্যাবলেটের মতো যন্ত্র ও তরল পদার্থের শিশি ইত্যাদি বের করে দেখালোর ঝক্কি থাকবে না। এতে একদিকে সময় বাঁচবে, আবার একজনের ল্যাপটপ আরেকজনের হাতে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটবে না। এই উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে হওয়া এখনকার দিনে প্রায়শই ঘটে থাকে।
এই সমস্যাগুলি ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিতে নয়, বিশ্বের সর্বত্রই দেখা যায়। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেএফকে বিমানবন্দর বা আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিডি স্ক্য়ানার বসিয়ে দেখা হয়েছে তার কার্যক্ষমতা। লন্ডনের হিথরোতেও পরীক্ষা চলছে। আর এই সব পরীক্ষার দিকে তীক্ষ্ণ নদর রাখছে ভারতের বিমান বন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ।
সিআইএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষাগুলিতে থ্রিডি স্ক্যানার অত্যন্ত কার্যকরী বলে প্রমাণ হয়েছে। তাই এবার ভারতের বিমাবন্দরগুলিতেও এই নতুন ধরনের স্ক্যানার বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।