তিন তালাকের বিরোধিতা করে পুলিশ ডাকার ফল, পুড়িয়ে মারা হল বধূকে
তিন তালাকের বিরোধিতা করায় মর্মান্তিক পরিণতি যোগী রাজ্যে। ২২ বছরের বধূ ও সন্তানের জননীকে শ্বশুরবাড়ির লোকের পুড়িয়ে মেরেছে শ্রাবস্তী জেলায়।
তিন তালাকের বিরোধিতা করায় মর্মান্তিক পরিণতি যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। ২২ বছরের বধূ ও সন্তানের জননীকে শ্বশুরবাড়ির লোকের পুড়িয়ে মেরেছে শ্রাবস্তী জেলায়। শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের মধ্যে তিন মহিলা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আইন পাশ হওয়ার পরেও স্বামী তিন তালাক দেওয়ায়, বধূ গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। পুলিশ কোনও অভিযোগ না নিয়েই বধূকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ বছরের মেয়ের সামনেই স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বধূ শায়িদার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শায়িদার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মুম্বই থেকেই ফোনে তাঁকে তিন তালাক দেওয়া হয়। সে থানায় গেলেও, পুলিশ শায়িদাকে স্বামীর সঙ্গেই থাকার পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি স্বামীকে নিয়ে দেখা করতে বলে।
[আরও পড়ুন: ম্যাডাম সিএম! পুলিশের হাতে শিক্ষক নিগ্রহ নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন অপর্ণা]
যদিও পুলিশের কথা কর্ণপাত করেনি শায়িদার স্বামী নাফিস। ফের স্ত্রীকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। সেই সময় তর্কাতর্কিতে পরিবারের শায়িদাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ।
শায়িদার ৫ বছরের মেয়ের বয়ান অনুযায়ী, বাবা মায়ের চুল ধরে ছিল। সেই সময় বাড়ির অন্য দুই আত্মীয় শায়িদার গায়ে কেরোসিন ঢালে। সেই সময় শায়িদার শ্বশুর-শাশুড়ি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। শায়িদার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।