কাল ব্যাঙ্গালোর বনধ, অশান্তি ঠেকাতে মোতায়েন ১৭ হাজার পুলিশ
গত ২ জুলাই এখানকার একটি স্কুলে ছ'বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। ১৪ জুলাই ঘটনাটি জনসমক্ষে আসার পর হইচই শুরু হয়। রাজ্য সরকার মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে বনধের ডাক দিয়েছে ৫০টি কন্নড় সংগঠন। তাদের মতে, আগের তুলনায় এখন নারীদের সুরক্ষা কমছে ব্যাঙ্গালোরে। অথচ পুলিশের হেলদোল নেই। পুলিশকর্তাদের মতে, অন্যান্য শহরের তুলনায় ব্যাঙ্গালোর অনেক সুরক্ষিত। দু'-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় প্রমাণ হয় না এখানে আইনশৃঙ্খলা খারাপ। এই যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ কন্নড় সংগঠনগুলি।
কালকের বনধে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএমটিসি (ব্যাঙ্গালোর মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) বলেছে, অন্যান্য দিনের মতো কালকেও বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ফলে চিন্তার কিছু নেই। অটো ইউনিয়নগুলিও জানিয়েছে, অটো যথারীতি রাস্তায় নামবে। বনধ তারা মানছে না।
পুলিশ কমিশনার জানান, স্কুল-কলেজ, সরকারি অফিসগুলি যথারীতি খোলা থাকবে। কেউ জোর করে তা বন্ধ করতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে থাকবে পুলিশের গাড়ি, যাতে যে কোনও জায়গায় দ্রুত ছুটে যাওয়া সম্ভব হয়। যশবন্তপুর, কে আর পুরম, ব্যাঙ্গালোর সিটি স্টেশন কিংবা এয়ারপোর্টগামী রাস্তায় বিশেষ নজরদারি চলবে। যাঁরা ট্রেন বা বিমান ধরতে যাবেন, তাঁদের হেনস্থা থেকে বাঁচাতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি, ইলেকট্রনিক সিটিতে কোনও ধরনের হাঙ্গামা বরদাস্ত করা হবে না।
তবে, সরকারি দফতরে হাজিরা কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ৪৫ হাজার সদস্য-বিশিষ্ট কর্নাটক গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (কেজিইএ) জানিয়েছে, তারা এই বনধকে নীতিগত সমর্থন দিচ্ছে। রাজ্য সরকার অবশ্য জানিয়েছে, অফিসে হাজিরা না দিলে বেতন কেটে নেওয়া হবে।