কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে এয়ারইন্ডিয়ার বিমান নিল ১৪ ঘন্টা!
নয়াদিল্লি,
২২
মার্চ
:
কলকাতা
থেকে
বিমানে
দিল্লি
যাবেন।
কতক্ষণ
সময়
লাগতে
পারে
ধারনা
আছে?
তা
১৪
ঘন্টা
লাগতে
পারে।
চমকে
যাবেন
না,
আপনি
ঠিকই
পড়েছেন।
সম্প্রতি
এয়ার
ইন্ডিয়ার
একটি
বিমান
কলকাতা
থেকে
যাত্রীদের
দিল্লিতে
পৌঁছে
দিতে
১৪
ঘন্টা
সময়
নিল।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়া ৭০১ -২৩৬ জন যাত্রী নিয়ে ওড়ার প্রস্তুতি করে। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের হাই কমিশনার আবদুল বসিত এবং সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানচালক বুঝতে পারেন বিমানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। আর তাই বিমানটি ফিরিয়ে আনা হয় কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনালে। ['সাত' ঘন্টার বিমান গন্তব্যে পৌঁছল 'ষাট' ঘন্টায়]
রাত সাড়ে আটটা নাগাদ প্রায় ৫০ জন মতো যাত্রী নেমে যান গন্তব্যে পৌঁছতে অন্য উড়ান নেবেন বলে। এঁদের মধ্যে আবদুল বসিতও ছিলেন। সীতারাম ইয়েচুরিও বিমান থেকে নেমে আসেন ঠিকই তবে তিনি দিল্লি যাননি সেদিন। [মাঝ আকাশে মদ খেয়ে মাতলামি, এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীকে বেঁধে রাখা হল বিমানের আসনে]
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "প্রত্যেক যাত্রীকে থাকার ব্যবস্থা এবং খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল বিমান সংস্থার তরফে। কয়েকজন হোটেলে থাকার বিকল্পে রাজি হন। তবে যাঁরা মূলত কলকাতারই বাসিন্দা তাঁদের অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাদের জন্য টাকা ফেরত দেওয়া হবে।" যদিও যাত্রীদের একাংশের দাবি, এমন কোনও প্রস্তাবই সংস্থার পক্ষে তাদের দেওয়া হয়নি।
রাত ১০টা নাগাদ অএপেক্ষায় থাকা ১৩১ জন যাত্রীকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য একটি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। তহে সেই বিমানটিও বিমানচালকের অভাবে ওড়েনি। এয়ার ইন্ডিয়ার কথায়, যে বিমানচালকরা উপস্থিত রয়েছেন তাদের 'ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন' পার হয়ে গিয়েছে। তাই তারা বিমান নিয়ে উড়তে পারবেননা। [Viral Video: "আমি মেয়ে? আর তাই আপনার অধিকার আছে যখন ইচ্ছে যেখানে খুশি আমায় ছোঁয়ার?"]
এরপরে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বিমানের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রবিবার উড়ানে দেরি হলে সীতারাম ইয়েচুরি চলে গেলেও এদিন দিল্লির জন্য এই বিমান ধরবেন বলে সকালে ফের দেরি করা হয় এয়ার ইন্ডিয়া সদস্যদের তরফে। ইয়েচুরিকে আলাদা আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছে। ভাল হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁকে। অথচ সাধারণ যাত্রীদের কথা একবারও ভাবেনি কতৃপক্ষ। [চালকের সেলফির জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে বিমান, মৃত ২]
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি।