হিজাব পরায় পড়ুয়াদের কলেজে প্রবেশে বাধা, ফের বিতর্ক কর্ণাটকে
হিজাব বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল, কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। কলেজে হিজাব পরে যাওয়ায় যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল, সেই বিতর্ক আরও একবার মাথাচাড়া দিয়েছে। আবারও একই অভিযোগ উঠল কর্ণাটকে। দক্ষিণ কন্নড় জেলার ম্যাঙ্গালুরু শ
হিজাব বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল, কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। কলেজে হিজাব পরে যাওয়ায় যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল, সেই বিতর্ক আরও একবার মাথাচাড়া দিয়েছে। আবারও একই অভিযোগ উঠল কর্ণাটকে। দক্ষিণ কন্নড় জেলার ম্যাঙ্গালুরু শহরে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, হিজাব পরে আসায় কলেজে ১২ জন পড়ুয়াকে প্রবেশ করতে বাধা দেয় খোদ কলেজ কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের বলা সত্ত্বেও তাঁরা হিজাব খুলতে চাননি বলেই প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। ম্যাঙ্গালুরু শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁদের প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার পর পড়ুয়ারা সোজা চলে যান জেলা কমিশনারের দফতরে।
দক্ষিণ কন্নড় জেলার কমিশনার ড. রাজেন্দ্র কেভির কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। তাঁদের যেন অবিলম্বে ক্লাসরুমে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেওয়ার আর্জি তাঁরা জানিয়েছেন কমিশনারকে. আসলে এই হিজাব বিতর্কের সূত্রপাত এই কর্ণাটকেই। কর্ণাটকের উদুপি শহরে ৬ ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল।
হিজাব পরায় তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি শিক্ষাঙ্গনে। আর তার জেরে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এই বিতর্কের রেশ পৌঁছে যায়। পরে পড়ুয়ারা এই ইস্যু নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। স্পেশাল বেঞ্চ বসিয়ে হয় সেই মামলার শুনানি।
প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তীর ডিভিশন বেঞ্চ বেশ কয়েকদিন ধরে মামলাকারী ও সরকার পক্ষের কথা শোনে। পরে আদালতের তরফে বলা হয়, হিজাব পরা ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। এই বলে মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়।
আর এবার ফের একবার সামনে এল সেই একই অভিযোগ। ওই ঘটনার পর কর্ণাটক সরকারে তরফে কলেজ ও স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রত্যেক পড়ুয়াকে বাধ্যতামূলকভাবে ইউনিফর্ম পরতে হবে ও হিজাব পরা যাবে না।