নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে ফিরবে ১ হাজার টাকা নোট
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, আর কয়েকমাসের মধ্যে নতুন নকশা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে আনা হবে ১ হাজার টাকার নোট।
নয়াদিল্লি, ১০ নভেম্বর : মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে অকেজো হয়ে গিয়েছে বাজার চলতি ৫০০ ও ১ হাজার টাকার ব্যাঙ্ক নোট। সরকারের কথামতো ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোট ইতিমধ্যে বাজারে এসে গিয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি সূত্রে এটাও জানানো হয়েছে যে খুব শীঘ্রই নতুন ১ হাজার টাকার নোট বাজারে আসতে চলেছে।
#Note Ban সমর্থন করেন দেশের ৮২ শতাংশ মানুষ, বলছে সমীক্ষা
নোট বাতিল : প্রধানমন্ত্রীকে মাত্র ৯ মিনিটে রাজি করান এই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, আর কয়েকমাসের মধ্যে নতুন নকশা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে আনা হবে ১ হাজার টাকার নোট।
এদিন যেমন সকাল থেকেই সারা দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কগুলির শাখার বাইরে গ্রাহকদের লম্বা লাইন লেগে গিয়েছে। সকলে এসে সাতসকাল থেকে লাইন দিয়ে পুরনো নোট ভাঙিয়ে নতুন নোট নিয়ে যাচ্ছেন। এই বছরের শেষে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট সমস্ত ভাঙিয়ে নেওয়া যাবে বলেও সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১৯৪৬ ও ১৯৭৮ সালেও নোট বাতিল হয়েছিল, জেনে নিন ইতিহাস
এখন আপাতত ৫০০ ও ২ হাজারের নোট ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এই নোটে এমন সমস্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আর্থিক তছরূপকে কমাতে সাহায্য করবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন নোট নিয়ে জনগণের হয়রানি কমবে বলে সরকারি তরফে দাবি করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৮ শতাংশ মানুষ দিনে মাত্র ২০ টাকা খরচ করে। ফলে তাদের বড় নোট প্রয়োজন নেই। তাছাড়া সারা দেশে প্রতিদিন ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয় যা বছরের হিসাবে ৮০০ লক্ষ কোটি টাকা। যদিও তার মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ লেনদেন হয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। বাকী লেনদেন হয় নগদে। যার নাগাল পাওয়া কষ্টসাধ্য নয় প্রায় দূরহ ব্যাপার। আর সেজন্যই এই সরকারি সিদ্ধান্ত।
কালো টাকা দমনে কেন্দ্রীয় সরকার বেশি কিছুদিন হল তৎপরতা দেখিয়েছে। যারা নিজেদের কাছে আয় বহির্ভূত টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন তাদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আয়কর দিয়ে তা মিটিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারপরই ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।