For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

চারশো বছরেরও বেশি প্রাচীন মন্দির, বুড়িমার পুজো করে শুরু হয় এই কালীপুজো

Array

Google Oneindia Bengali News

বিপদগ্রস্ত, অসহায় মানুষ ছুটে আসেন মা'য়ের দ্বারে। মানুষের বিশ্বাস, মা-ও কাউকে ফেরাননা। তাই সারা বছর হাওড়া জেলা তো বটেই বহু দূরদূরান্ত থেকে অজস্র মানুষ ছুটে আসেন গ্রামীণ হাওড়ার খলিশানীর বুড়িমার কাছে। ১৬ নং জাতীয় সড়কের খলিশানী কালীতলা স্টপেজ থেকে পশ্চিমদিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বুড়িমার মন্দির। স্থানীয়রা জানান, মন্দিরটি চারশো বছরেরও বেশি প্রাচীন।

চারশো বছরেরও বেশি প্রাচীন মন্দির, বুড়িমার পুজো করে শুরু হয় এই কালীপুজো

সারা বছর বহু দূর থেকে অজস্র মানুষ ছুটে আসেন খলিশানীর এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে। তবে দীপান্বিতা অমাবস্যায় মন্দিরে কার্যত তিল ধারণের জায়গা থাকে না। জনশ্রুতি, খলিশানীর বুড়িমার কাছে ভক্তি ভরে আশীর্বাদ চাইলে যে কোনও কঠিন ব্যাধি সেরে যায়। মা'য়ের কাছে নিষ্ঠা ভরে মানত করলে সব মনস্কামনা পূর্ণ হয়। স্থানীয় মানুষের কাছে বুড়িমা কার্যত অভিভাবিকা।

খলিশানী ও আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের শুভ কাজে আগে মা'য়ের কাছে পুজো দেন, তারপর শুভকাজ সম্পন্ন করেন। এলাকাবাসীর কথায়, খলিশানী ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় বর্তমানে প্রায় শতাধিক কালীপুজো হয়। কিন্তু সকলেই আগে বুড়িমার কাছে পুজো নিবেদন করেন, তারপর কালীপুজো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আমতার জগৎপুর গ্রামে দেবীর ঘট প্রতিষ্ঠা করেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। পরে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে গৌরী নদীর তীরে শ্মশানের মাঝে কালীমূর্তি স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বহুকাল আগে ঘন জঙ্গল থাকায় এই এলাকায় জনসংখ্যা খুবই কম ছিল। ফলে এলাকাটি ছিল ডাকাতদের আখড়া। এরকম এলাকাতেই বুড়িমার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও আজ সেসব কিছুই নেই। কিন্তু রয়ে গেছে শত শত বছরের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যবাহী সুপ্রাচীন খলিশানী কালীমন্দিরে এখন সাজো সাজো রব।

কালী বা কালিকা হলেন একজন দেবী। তিনি দেবী দূর্গার একটি রূপ । তার অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। প্রধানত শাক্ত সম্প্রদায় আবশ্যিক কালীপূজা করে থাকে। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যা-র প্রথম দেবী। শাক্তমতে কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।

দেবীর আর্বিভাব সম্পর্কে পৌরাণিক ব্যাখ্যা ও সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী পুরাকালে শুম্ভ এবং নিশুম্ভ নামক দুই দৈত্য সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের ভয়ঙ্কর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। ফলে দেব লোক তাদের হাতছাড়া হয়ে যায় তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেবলোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি মা পার্বতীর তপস্যা করতে থাকেন, তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাদের কাছে আবির্ভূত হন এবং দেবীর শরীর কোষ থেকে অন্য এক দেবী সৃষ্টি হয় যা কৌশিকী নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত। দেবী কৌশিকী মা মহামায়ার দেহ থেকে নিঃসৃত হয়ে মহাকাল বর্ণ ধারণ করে, যা দেবী কালীর আদিরূপ বলে ধরা হয়।

খেলার ছলে এই গ্রামে শুরু হয়েছিল কালীপুজো, তাতেই এখন অভিনব ভাবনার ছোঁয়া খেলার ছলে এই গ্রামে শুরু হয়েছিল কালীপুজো, তাতেই এখন অভিনব ভাবনার ছোঁয়া

English summary
know about khalisani village kali puja of howrah
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X