রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিরছে ভুভুজেলা! তবে একটু অন্যভাবে, জেনে নিন আসল গল্প
বিতর্কিত শব্দযন্ত্র ভুভুজেলা ফিরছে রাশিয়া বিশ্বকাপেও। তবে একটু অন্যভাবে।
বিতর্কিত শব্দযন্ত্র ভুভুজেলা ফিরছে রাশিয়া বিশ্বকাপেও। তবে একটু অন্যভাবে। এবং তা সমান আকর্ষণীয়ও বটে।
২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খবরের শিরোনামে আসে ভুভুজেলা। বাংলায় চোঙ বলতে যা বোঝায় কতকটা সেরকম দেখতে। পুরনো সানাইয়ের ধাঁচে গড়ন। পুরনো মাইক যেগুলি রাস্তায় মোড়ে মিটিং-মিছিলে ব্যবহার হতো সেরকমও বলা যেতে পারে এই শব্দযন্ত্রকে।
এককথায় মারাত্মক এটি। শব্দ দানবও বটে। সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে নিমেষে। এতটাই জোরে শব্দ হয় এটিতে। যার জেরে আবির্ভাবের পরই খবরের শিরোনামে এটি আসে নেতিবাচকভাবে। পরের ব্রাজিল বিশ্বকাপের সময় ২০১৪ সালে তা স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। ঠিক হয় পরবর্তী সমস্ত বিশ্বকাপে এটিকে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করা হবে।
এবারও রাশিয়া বিশ্বকাপে কোনও স্টেডিয়ামে কোনও দর্শক ভুভুজেলা নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। তবে এই শব্দযন্ত্রের জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে রাশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোক্তারা নয়া উদ্যোগ নিয়েছেন।
মস্কোয় সোকোলনিকি পার্কে ৯ মিটার দীর্ঘ একটি ভুভুজেলা বসানো হবে। রাশিয়ার পতাকার রঙে মোড়া এই ভুভুজেলা প্লাস্টিকের তৈরি। ৩০ ডিগ্রি কোণে ট্রাইপডে এটি বসানো থাকবে বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
সুবিশাল ভুভুজেলার মধ্যে স্পিকার বসানো হবে। এবং মাইক্রোফোনও থাকবে। কেউ সামনে গিয়ে কথা বললে, গান গাইলে অথবা চেঁচালে তা চলতে শুরু করবে। যত জোরে কেউ আওয়াজ করবে, ভুভুজেলাও ততোধিক জোরে বাজবে।
সোকোলনিকি পার্কের ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাশিয়ার ম্যাচগুলির দিনে রেডিওর মতো ম্যাচের সরাসরি ধারাভাষ্য শোনা যাবে ভুভুজেলার মাধ্যমে। পার্কে বেড়াতে আসা মানুষ যাতে দেশকে সমর্থন করতে পারেন, সেজন্য এই উদ্যোগ।