AFC Women’s Asian Cup 2022: জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এএফসি-কে কাঠগড়ায় তুললেন ভারতের কোচ
জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এএফসি-কে কাঠগড়ায় তুললেন ভারতের কোচ
চলতি এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ থেকে কোভিডের কারণে ছিটকে যাওয়ায় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-র জৈব সুরক্ষা বলয়কেই কাঠগড়ায় তুললেন থমাস ডেননার্বি। এশিয়ায় মহিলা ফুটবলের সর্বোচ্চ আয়োজনের দায়িত্ব এ বার পেয়েছিল ভারত। আয়োজক দেশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর এই ফ্ল্যাগশিপ টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ায় ভাল কিছুর আশা বুক বেঁধেছিল দেশবাসী। কিন্তু লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমণ টুর্নমেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য করে ভারতকে।
এক ভার্চুয়াল আলাপচারিতায় পিটিআই-কে ডেননার্বি বলেছেন, "হোটেলে পৌঁছনোর সময়ে আমরা প্রত্যেকেই কোভিড নেগেটিভ ছিলাম। এমনকী হোটেলে পৌঁছনোর পরও যে টেস্ট হয়েছিল তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। প্রথমবার অনুশীলনের জন্য হোটেল থেকে যখন আমরা বের হই তখন প্রথম পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং তার পরের দিনই হোটেলের সাত জন স্টাফের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কোভিডের এই সংক্রমণ হঠাৎ কী ভাবে ছড়িয়ে পড়ল তা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন হয় না।"
এই প্রতিযোগীতার সেরা পাঁচ দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০২৩ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালে পৌঁছনোর ক্ষমতা রয়েছে এই ভারতীয় দলের, যার অর্থ এই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার ফলে বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জনের সহজ সুযোগ হাতছাড়া হল ভারতের। অবাঞ্ছিত কারণে শুরুতেই নিজেদের জন্য টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় অসন্তুষ্ট ডেননার্বি বলেন, "১৭ জানুয়ারি হোটেলের সাত জন স্টাফের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং এক দিন পর ওরা সে কথা জানায়। আমরা জানি না পুরো এক দিন ধরে কী করছিল এএফসি। দলগুলোর মতো তিন দিন অন্তর হোটেল স্টাফদের টেস্ট হচ্ছিল না। ছ'দিন ছাড়া ছাড়া ওদের টেস্টিং হচ্ছিল। এর পিছনে কী কারণ রয়েছে তা আমরা জানি না।"
ডেননার্বি জানিয়েছেন, এএফসি-র পরিচালিত জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে যখন কোভিড নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে তখন এর একটা ব্যবস্থা করা উচিৎ ছিল এশিয়া ফুটবলরে নিয়ামক সংস্থার। তিনি বলেছেন, "সত্যি বলতে আমরা এএফসি যে ভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে তাতে আমরা খুশি নই, পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য সেভাবে উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়নি। এক দিক থেকে এটাই আমাদের স্বপ্নকে শেষ করে দিল। তবে এএফসির আয়োজনকে আমরা একেবারেই দোষ দিচ্ছি না। সব মিলিয়ে এএফসি যথেষ্ট ভাল একটা সংস্থা। যেহেতু এই কোভিড সংক্রমণ আমাদের কারণে হয়নি। এর একটা সমাধান বের করতে পারত এএফসি। কিছু দিন ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারত তারা।"
দারুণ ছন্দেই এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে যাত্রা শুরু করেছিল ভারত। প্রথম ম্যাচ ইরানের সঙ্গে ড্র করেছিলেন আশালতা দেবীরা। দ্বিতীয় ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে খেলা হলে জিততে পারত ভারত। কিন্তু গোটা দলের মধ্যে কোভিড ছড়িয়ে পড়ায় টিম মাঠে নামানোর মতো ফুটবলার ছিল না ভারতের হাতে। এর পরই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় ব্লু টাইগ্রেসরা।