Exclusive: শিল্ডের ১২৫তম সংস্করণকে স্মরণীয় করে রাখতে তাক লাগানো পদক্ষেপ নিচ্ছে আইএফএ
শিল্ডের ১২৫তম সংস্করণকে স্মরণীয় করে রাখতে তাক লাগানো পদক্ষেপ নিচ্ছে আইএফএ
বিশ্ব ফুটবলের চতুর্থ প্রচীন টুর্নামেন্ট আইএফএ শিল্ড ২০২২ সালে পা রাখতে চলেছে ১২৫ বছরে। আইএসএল-এর হাজার ওয়াটের আলোর সামনে ফিকে হয়ে গিয়েছে শিল্ডের মতো এক সময়ের প্রথম সারির টুর্নামেন্টগুলি। এক সময়ে যেই শিল্ডকে ঘিরে উত্তেজিত থাকত তিন প্রধানের সমর্থকেরা সেই শিল্ড কৌলিন্য হারিয়েছে বড় ক্লাবগুলির অবহেলায় এবং আইএফএ-এর পূর্বতন আধিকারিকদের দূরদর্শীতার অভাবে।
তবে, আইএফএ-তে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাংলা ফুটবলে নতুন জোয়ার এসেছে। একে একে চালু হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া একাধিক প্রতিযোগীতা। ২০২১ সালে ফরম্যাট বদলে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছিল কলকাতা লিগকে। দুই প্রধান এসসি ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগান আইএসএল-এর কারণে না খেললেও লিগকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। একই রকম উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে শিল্ডেও। তবে, এই সব কিছুকে ছাপিয়ে ২০২২ আইএফএ শিল্ডকে অন্য মাত্র দিতে মরিয়া দেশের প্রাচীনতম ফুটবল সংস্থা। শিল্ড আয়োজনের জন্য হাতে প্রায় এক বছর সময় থাকলেও এখন থেকে ছক সাজাচ্ছে বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।
শিল্ডের ১২৫তম সংস্করণে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই আইএফএ-কে নিশ্চয়তা দিয়ে দিয়েছে তিন প্রধান। এবার শিল্ডের পুরস্কার মূল্য প্রায় অনেকটাই বাড়ানোর কথা ভেবেছে জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন আইএফএ। একই সঙ্গে ম্যাচের সেরার এবং টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কার মূল্যও বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে শিল্ডের সেরা ফুটবলারকে মটোরসাইকেল দেওয়া কথাও ভাবছেন আইএফএ সচিব।
শিল্ডকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে বুন্দেশলিগার প্রথম সারির একটি ক্লাবের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে আইএফএ। নাম না প্রকাশ করার শর্তে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেছে, "বুন্দেশলিগার ক্লাবকে দেখা যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল আসন্ন আইএফএ শিল্ডে। শিল্ডের ১২৫তম সংস্করণকে স্মরণীয় করে রাখতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হবে যার মধ্যে এটি অন্যতম। কোনও রিজার্ভ টিম নয়, বুন্দেশলিগার প্রথম সারির দলের প্রথম একাদশকেই কলকাতা ময়দানে খেলানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।" আইএফএ-এর প্রস্তাবে রাজি বুন্দেশলিগার ক্লাবটিও। সরকারী ভাবে কিছু চূড়ান্ত না হলেও মৌখিক সম্মতি পাওয়া গিয়েছে ক্লাবটির থেকে।
শুধু জার্মান-ই নয়, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার দু'টি দলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে আইএফএ-এর প্রস্তাব। এই দুই দেশের মধ্যে যে কোনও একটি দেশের প্রথম সারির টপ ক্লাবকে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে আইএফএ। শিল্ডে দুই হাইপ্রোফাইল বিদেশি দল এবং তিন প্রধানের পাশে খেলতে দেখা যাবে জেলা ফুটবলের সেরা দুই দলকে। অতীতে কখনও জেলার কোনও দল শিল্ডে খেলেনি। এবারই সেটা প্রথম হতে চলেছে সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। ২০২২-এর নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে শুরু হবে শিল্ড।
মহিলা ফুটবলের উন্নতিতে এ বছরও কন্যাশ্রী কাপ আয়োজনের ব্লু প্রিন্ট সাজিয়ে নিয়েছে আইএফএ। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে পারে কন্যাশ্রী কাপ। কোভিড পরিস্থিতি খাতিয়ে দেখতে ৫ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি রিভিউ মিটিং করবে আইএফএ। তার পর দিনক্ষণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই বার চল্লিশোর্ধ ফুটবলারদের নিয়ে আইএফএ মাস্টার্স টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ভাবছে বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।