AIFF: এআইএফএফ সচিব কুশল দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
এআইএফএফ সচিব কুশল দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রঞ্জিত বাজাজের
রঞ্জিত বাজাজের তোলা অভিযোগে তোলপাড় ভারতীয় ফুটবল। সোমবার রাতে মিনার্ভা পাঞ্জাব অ্যাকা়ডেমি এবং দিল্লি এফসি'র কর্ণধার সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাসের বিরুদ্ধে দুই মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন।
২০২০ সালে মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি'কে বিক্রি করে দেওয়া বাজাজের অভিযোগ, দুই মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে এই ধরনের কু-আচরণ করেছেন কুশল দাস। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, এআইএফএফ-এর সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলের কারণেই এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়টি সামনে আসেনি। কারণ বাজাজের বয়ান অনুযায়ী, " কুশল দাস পদত্যাগ করুন নয়তো আমি আমনার বিরুগ্ঘে সেই সমস্ত তথ্য সামনে নিয়ে আসবো যা প্রফুল্ল প্যাটেল মাটির তলায় গেড়ে দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে দুই মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানি করেছেন।"
পরবর্তীতে বাজাজ বলেছেন, "ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নয়, আমার অভিযোগ একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এবং ও চাইলে আদালতে যেতে পারে এবং হলফনামা পেশ করতে পারে। এআইএফএফ-কে কাজে না লাগিয়ে এই বিষয়ে এই বিষয়ে নিজে পদক্ষেপ নিন।"
তীব্র অভিযোগে বিদ্ধ হওয়ার পর মুখ খুলেছেন কুশল দাস। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব জানিয়েছেন, দশ বছরের তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি এআইএফএফ-এর কমিটিতে। তিনি বলেছেন, "এআইএফএফ-এর মহিল সেল রয়েছে এই ধরনের অভিযোগগুলি দেখার জন্য এবং শেষ দশ বছরে সেখানে আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ও (রঞ্জিত বাজাজ) যে অভিযোগ করেছে তা খাতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করুক তারপর আমি নিজের বক্তব্য রাখবো এক্সিকিউটিভ কমিটির সামনে।"
রঞ্জিত বাজাজের তোলা এই অভিযোগে বিদ্ধ কুশল দাসের পাশে দাঁড়িয়েছে এআইএফএফ। এআইএফএফ-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে. "যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কোনও প্রমাণ ছাড়াই এই অভিযোগ করা হয়েছে।"
এর আগে কুশলের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় এআইএফএফ-এর বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে এআইএফএফ-এর অভ্যন্তরীন অভিযোগ কমিটির প্রধান জ্যোৎস্না গুপ্ত বলেছেন, "বিভাগের প্রধান হিসেবে আমি কখনও এই ধরনের রিপোর্ট পাইনি সচিব বা এআইএএফ-এর অন্য কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে। কেউ সচিবের বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ করতে পারে তা দেখে আমি অবাক। এআইএফএফ-এর মধ্যেকার কাজের পরিধি যথেষ্ট সুরক্ষিত মহিলা কর্মীদের জন্য।"