এমবাপের গোলে নেশনস লিগে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে মানরক্ষা ফ্রান্সের, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে উদ্বিগ্ন নন কোচ দেশঁ
বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে হোঁচট খেয়েই চলেছে ফ্রান্স। নেশনস লিগে এখনও জয়ের মুখ দেখতে পারল না দিদিয়ে দেশঁর দল। নেশনস লিগে গ্রুপ এ ১ পয়েন্ট তালিকায় ফ্রান্স এখন সবার নীচে। ক্রোয়েশিয়ার কাছে ১ গোলে হেরেও ডেনমার্ক রয়েছে এই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। তাদের ঝুলিতে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। অস্ট্রিয়া ও ক্রোয়েশিয়া ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। ফ্রান্স রয়েছে ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে।
অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধেই ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ফ্রান্স। ৩৭ মিনিটে আন্দ্রেয়াস ওয়েইম্যান গোলটি করেছিলেন। ৮৩ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। ওয়েইম্যানের গোলে যখন ফ্রান্স পিছিয়ে পড়ে তখন ডাগআউটে বসা এমবাপের অভিব্যক্তিতে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন কিংস্লে কোম্যান। গোল করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও তিনি বল বাইরে মেরে বসেন। পরিবর্ত হিসেবে নেমে এমবাপে ফ্রান্সকে সমতা ফেরাতে সাহায্য করেন। ভাগ্য ভালো থাকলে তিনি জয়সূচক গোলটিও করতে পারতেন। সেই গোলটি করতে না পারার হতাশা রয়েছে এমবাপের। এমবাপের প্রয়াস ক্রসবারে প্রতিহত হয়।
ফ্রান্স নেশনস লিগে ডেনমার্কের কাছে হেরে গিয়েছিল। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে। এবার অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধেও পিছিয়ে পড়ে ড্র। সোমবার ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ফের ম্যাচ রয়েছে। ক্রোয়েশিয়া ৬৯ মিনিটে করা মারিও পাসালিচের গোলে হারিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ককে। ফলে ফ্রান্সের সামনে লড়াই বেশ কঠিন। এমবাপে বলেন, কোচ আমার প্রয়োজন বোধ করলে আমি নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। ছুটির আগে ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ জিতলে আমাদের কিছুটা সুবিধাও হবে।
উল্লেখ্য, ক্রোটদের বিরুদ্ধে খেলার পর ফ্রান্সের পরবর্তী ম্যাচ থাকবে সেপ্টেম্বরে অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কের বিরুদ্ধে। তবে দলের এই পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের আগে অস্বস্তিতে রাখছে না কোচ দিদিয়ে দেশঁকে। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে খেলছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধেও আমরা ভালো খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই ছিল। এবারের কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের গ্রুপেই রয়েছে ডেনমার্ক। এই গ্রুপের বাকি দলগুলি হলো তিউনিশিয়া এবং পেরু বা নিউজিল্যান্ড (যারা যোগ্যতা অর্জন করবে)।