চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে এক পা বাড়িয়ে দিল লিভারপুল, বেনফিকার ঘরের মাঠে উঠল লাল ঝড়
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে এক পা বাড়িয়ে দিল লিভারপুল, বেনফিকার ঘরের মাঠে উঠল লাল ঝড়
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের এক পা বাড়িয়ে দিল লিভারপুল। বুধবার বেনফিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে ৩-১ পরাজিত করল য়ুর্গেন ক্লপের দল। পর্তুগলের দলটির থেকে ধারে ও ভারে এগিয়েই মাঠে নেমেছিল। তাই গ্যালারি উপচে পড়া সমর্থক থাকলেও প্রতিপক্ষের ডেরা থেকে কাঙ্খিত তিন পয়েন্ট তুলে আনতে কোনও সমস্যা হয়নি লিভারপুলের।
বুধবার ভারতীয় সময়ে গভীর রাতে ম্যাচের ১৭ মিনিটে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কর্নার থেকে হেডে গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিম কন্তে। এই অর্ধেই লিড ডবল করে দ্য রেডস। ৩৪ মিনিটের মাথায় লুইস ডিয়াজের গোল মুখের সামনে সাজিয়ে দেওয়া ক্রস ছোট টোকায় জালে জড়িয়ে দেন সাদিও মানে। মানের পা থেকে গোলটি এলেও বলটি সাজিয়ে দেওয়ার মূল রূপকার ছিলেন কলম্বিয়ার এই উইঙ্গার।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। ফেভারিট হিসেবে পুরো ম্যাচে লিভারপুল এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে লড়াই করার চেষ্টা করেছিল বেনফিকা। প্রথমের দশ মিনিট গুছিয়ে খেলার চেষ্টা রাখালেও ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই মাঝমাঠের দখল হারিয়ে ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলেছে বেনফিকা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দশ মিনিট ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকা দলটি চেষ্টা চালায় ম্যাচে ফিরে আসার। যার ফলে ৪৯ মিনিটে রাফা সিলভার পাস থেকে বেনফিকার হয়ে গোলের ব্যবধান কমান ডারউইন নুনেজ।
নুনেজের গোলে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টায় লিভারপুলকে আরও চেপে ধরে নেলসন ভেরিসিমোর ছেলেরা। যুর্গেন ক্লপ দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে একই সঙ্গে তুলে নেওয়ায় কাজটা আরও সহজ হয়ে যায় বেনফিকার জন্য। কিন্তু এই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি। বরং পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামা জর্ডান হান্ডারসনের ফলে মাঝমাঠে আলগা হওয়া লাগাম ফের হাতে তুলে নেয় লিভারপুল। ম্যাচে ৮৭ মিনিটে নাবি কেইটার পাস থেকে লুইস ডিয়াজের গোলে শেষ পেরেক পোঁতা হয়ে যায় বেনফিকার কফিনে।
প্রথম লেগের ম্যাচে জেতার ফলে শেষ চারের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল লিভারপুল। ফিরতি লেগে অ্যানফিল্ডে ১৪ এপ্রিল মুখোমুখি হবে এই দুই দল। বেনফিকাকে সেমিফাইালে খেলতে হলে লিভারপুলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জিততে হবে এই ম্যাচে। লিভারপুল যদি একটি গোল দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে বেনফিকাকে ম্যাচটি টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যেতে হলে জিততে হবে ৩-১ গোলে অর্থাৎ দুই গোলের ব্যবধান বজায় রেখে জিততে হবে বেনফিকাকে। তবেই, তারা টাইব্রেকার পর্যন্ত অন্তত পৌঁছতে পারবে।