আইএসএল ২০১৮: কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল বেঙ্গালুরু এফসি
ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ২০১৮-১৯-এ কেরল ব্লাস্টার্স বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের রিপোর্ট।
সোমবার সন্ধ্যায় কেরলের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ১৭ মিনিটে সুনীল ছেত্রী গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু এফসিকে। এরপর ৩০ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে সেই গোল শোধ করেছিলেন কেরলের স্টোভানোভিচ। কিন্তু ৮১ মিনিটের মাথায় কেরলের ক্রামারেভিচের আত্মঘাতি গোলে ২-১ ফলে জিতল বেঙ্গালুরু। এর ফলে তাদের তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাাচের তিনটিতেই জিতল তারা।
তবে ম্যাচের একেবারে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত কেরল। ডান প্রান্ত থেকে প্রশান্তের নিচু করে ক্রস বাড়িয়েছিলেন বক্সের মধ্যে। সি কে বিনিথ বেঙ্গালুরু রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। শটও নিয়েছিলেন গোল লক্ষ্য করে। কিন্তু তিনি বলটি তিন কাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি।
এর কয়েক মিনিট পড়েই আবার বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করার সুয়োগ পেয়েছিলেন এরিক পারতলু। ম্যান অব দ্য ম্যাচ দিমাস দেলগাদোর একটি ফ্রি-কিক সন্দেশ ঝিংগান হেড করে ক্লিয়ার করতে যান। বল গিয়ে পড়ে পারতলুর পায়ে। তিনি প্রথম পোস্টে বল রাখেন। কিন্তু গোললাইন থেকে সেই বল ক্লিয়ার করেন লালরুত্থারা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে সুনীল ছেত্রীর নিখুঁত ফিনিসে ব্লুজরা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। মিকুর একটি অসাধারণ থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন কেরল রক্ষণ চিড়ে। সুনীল ছেত্রী বক্সে ঢুকে সেই বল জালে জড়িয়ে দেন।
ব্লাস্টার্সর ম্যাচের ঠিক আধঘণ্টার মাথায় সমতা ফেরায়। ডান প্রান্তে সিরিল কালির থ্রো থেকে বল নিয়ে উপরে ওঠেন সামাদ। কিন্তু বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নিশু কুমারের বক্সের ভিতর ফাউল করে আটকান তাঁকে। রেফারি পেনাল্টি দেন। স্টোভানোভিচ গোল করতে ভুল করেননি।
সমতা ফেরানোর পর প্রথমার্ধেই কেরলের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। নিকোলা ক্রামারাভিচ এটি চমৎকার আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান ডানপ্রান্তে প্রশান্তকে। তিনি বক্সের ভিতরে ডঞ্জেলকে বল দেন। ভারতীয় স্ট্রাইকার গোলে শট নেন। গুরুপ্রিত সেই যাত্রায় বেঙ্গালুরুর পতন রোধ করেন।
বিরতির পর, অবশ্য প্রথম আক্রমণ হেনেছিল বেঙ্গালুরুই। এরিক পারতলু কেরল বক্সে লম্বা বল বাড়ডিয়েছিলেন। হরমোনজোৎ খাবরা সেই বল নামান সুনীল ছেত্রীর জন্য। তাঁর থেকে বল পান মিকু। তিনি শট নিয়েছইলেন গোলে, কিন্তু বলটি কেরলের রক্ষণের খোলেয়াড়দের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
এরপর আবার গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংয়ের লম্বা গোলকিক ধরে লেকিচ-পেসিচকে পেরিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মিকু। কিন্তু আবারো তার শট কেরল ডিফেন্ডারদের পায়ে প্রতিহত হয়।
খেলার শেষদিকে বিনিথ আরও একার প্রশান্তের থ্রু বলের সৌজন্যে অফসাইড চ্র্যাপ এড়িয়ে বেঙ্গালুরু বক্সে আক্রমণ হেনেছিলেন। কিন্তু গুরপ্রিতকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাত্র ৯ মিনিট আগে সিস্কো ও মিকুর সমন্বয়ে জয়ের গোল পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। সিস্কোর জোরালো শট নবীন সেভ করলেও ফিরতি বল ক্রামারোভিচের গায়ে লেদে ঢুকে যায় গোলে।
এরপর আর কেরল গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফলে তাদের অপরাজেয় দৌড় ঘরের মাঠেই শেষ হল।