জর্ডানের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হার ভারতীয় ফুটবল দলের
জর্ডানের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হার ভারতীয় ফুটবল দলের
ভারতীয় ফুটবল দলের উন্নতি আদৌ কি কখনও হবে? এটাই লক্ষ টাকার প্রশ্ন। ওই প্রশ্নটা ছিল আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগেও এবং আগামী অর্ধ শতাব্দী এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! দেশের ফুটবলের উন্নতিতে কোনও প্রকার কমতি রাখেনি এআইএফএফ, আট বছর হয়ে গেল সর্বোচ্চ লিগ আইএসএল শুরু হয়েছে, যেখানে বিশ্বমানে কোচের অধীনে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জাতীয় দলের ফুটবলাররা ড্রেসিং রুম ভাগল করে নেন বিশ্ব ফুটবলর মহানক্ষত্রদের সঙ্গে। কিন্তু তাতে যেই তিমিরে ছিল ভারতীয় ফুটবল সেই তিমিরেই পড়ে রইল।
জর্ডানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স, ফের সেই চিত্রটাই আরও এক বার দেখিয়ে দিল ভারতীয় দলের অবস্থানটা ঠিক কী!
এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনকারীর মূল পর্বে নামার আগে শনিবার ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ফিফা ক্রমতালিকায় ৯১ নম্বরৈ থাকা জর্ডানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভারত। ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ইগর স্টিম্যাচ দেখে নিতে চেয়েছিলেন কতটা তৈরি তাঁর দল গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, হংকং-এর বিরুদ্ধে নামার আগে। কিন্তু প্রায় পূর্ণশক্তির দল নিয়ে যে ফুটবল খেললেন সুনীল ছেত্রীরা তাতে চিন্তা বাড়বে। প্রথম থেকে সমানে সমানে খেলার চেষ্টা চালালেও ভারতীয় ফুটবলারদের মাঝেমধ্যেই টেক্কা দিয়ে যাচ্ছিল জর্ডন।
কাতার স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে মূলত ডিফেন্সিভ ফুটবলই এ দিন খেলে ভারত এবং এরই সৌজন্যে প্রথমার্ধে কোনও গোল হজম করেননি সন্দেশ ঝিংঘান, শুভাশিস বসুরা। দলে বিশ্বমানের দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এবং দুই ফুল ব্যাক না থাকলে ডিফেন্সিভ ফুটবল কখনওই কার্যকরী হয় না, যে কোনও মুহূর্তে ডিফেন্সের একটা ভুল ডুবিয়ে দিতে পারে। তার উপর ডিফেন্সিভ শেপে পুরোপুরি ঢুকে পড়লে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়। কারণ মাঝমাঠটাই পুরো ডিফেন্সিভ শেপ নিয়ে নেয়। ভারতের ক্ষেত্রেও এ দিন অনেকটা তেমনই হয়েছে।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে সন্দেশ ঝিংঘান ফ্রি হেডার পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি। ৭৪ মিনিটে সুনীল ছেত্রীকে তুলে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজকে মাঠে নামান স্টিম্যাচ কিন্তু তাতে কোনও লাভই হয়নি। বরং এর পরের মিনিটে অর্থাৎ ৭৫ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে ভারত। মন্থর আবু আমারার গোলে লিড পেয়ে যাওয়া জর্ডান আরও বেশি করে আক্রমণে উঠে আসে। ৮৭ মিনিটে এক সুতোপ ব্যবধান মুছে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শুভাশিস বসুর পরিবর্তে নামানো হয় ঈশান পন্ডিতা'কে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্তি সময়ে (৯৪ মিনিট) দ্বিতীয় গোলটি হজম করে ভারত। মহম্মদ আবু রায়েক দ্বিতীয় গোলটি করে ভারতের সমস্ত আশায় জল ঢেলে দেন।