সুভাষ ভৌমিকের স্মৃতিতে স্মরণসভার আয়োজন করল আইএফএ
সুভাষ ভৌমিকের স্মৃতিতে আইএফএ-এর দফতরে আয়োজিত হল স্মরণসভা
বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলকে অন্ধকার করে পার্থিব শরীর ত্যাগ করেছেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ফুটবল মহল। বাইচুং ভুটিয়া থেকে হোসে রামিরেজ ব্যারেটো, তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রত্যেকে। শুধু তাঁর অগুণিত শিষ্যরাই নন, সুভাষের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর সতীর্থরাও।
সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে ১ ফেব্রুয়ারি শোক সভার আয়োজন করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ৩ বা ৪ ফেব্রুয়ারি সুভাষ স্মরণের পরিকল্পনা রয়েছে মোহনবাগানের। কলকাতার দুই প্রধান স্মরণসভা আয়োজন করার আগে সুভাষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ। সোমবার সুতারকিন স্ট্রিটে আইএফএ-এর দফতরে আয়োজিত স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। শনিবারই আইএফএ সচিব জানিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিকের স্মরণে আগামী দিনে কোনও একটি ট্রফি তাঁর নামে করতে চায় আইএফএ। তবে, কোনও ট্রফি সুভাষ ভৌমিকের নামাঙ্কিত করা হবে তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি বাংলার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। দীর্ঘ দিন ধরেই সুগার এবং কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস নিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বুকে সংক্রমণ নিয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন একবালপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ২৩ বছর আগে তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। শুক্রবারই অসুস্থ সুভাষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এগিয়ে এসেছিল তিন প্রধান এবং আইএফএ-ও। তবে কাউকেই সুযোগ দিলেন না প্রবাদপ্রতিম কোচ।
নিজের ফুটবল কেরিয়ারে যেমন একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছেন, নিজের দক্ষতায় গর্বিত করেছেন দেশকে, তেমনই কোচ হিসেবেও সুভাষ ভৌমিক আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর কোচিং-এ আশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে এটাকেই সব থেকে বড় সাফল্য হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও তিনি জিতেছেন সান মিগুয়েল আন্তর্জাতিক ট্রফি। জাতীয় ফুটবলে এমন কোনও ট্রফি নেই যা পাননি সুভাষ ভৌমিক।