আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের শেষ ম্যাচ নাকি খেলে হঠাৎ কেন কলকাতায় ফিরছেন হীরা মণ্ডল?
আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের শেষ ম্যাচ নাকি খেলে হঠাৎ কেন কলকাতায় ফিরছেন হীরা মণ্ডল?
চলতি আইএসএল-এ শেষের মুখে এসসি ইস্টবেঙ্গলের যাত্রা। ৫ মার্চ বেঙ্গালুরু এফসি'র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। লাল-হলুদ জিততে পারে তা এত দিনে প্রায় ভুলেই গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। দেশের শীর্ষ লিগে এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল জয় পেয়েছে মাত্র একটি ম্যাচে। তারা হেরেছে অর্ধেক ম্যাচে অর্থাৎ দশটি ম্যাচে। এই পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচে কোনও ক্রমে যাতে মারিও রিভেরার দল হার বাঁচাতে পারেন, সেটাই একমাত্র প্রার্থনা লক্ষ লক্ষ লাল-হলুদ জনতার।
এই মরসুমে যদি কোনও কিছু প্রাপ্তি হয়ে থাকে এসসি ইস্টবেঙ্গলে তা হলে সেটি একমাত্র হীরা মণ্ডল। ভারতীয় ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে এই মরসুমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন হীরা। কলকাতা লিগে তাঁর খেলা নডর কাড়লেও জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের প্রতিভার বিচ্ছ্বুরণ করার জন্য হীরার প্রয়োজন ছিল বড় মঞ্চ।
ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে এই মরসুমে দেশের ফুটবল মহলের দৃষ্টি কেড়েছেন হীরা। দেশি-বিদেশি নির্বিশেষে লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা যখন ভরসা জোগাতে তখন ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন হীরা। নিয়মিত পারফর্ম করা এই ফুটবলারকে শেষ ম্যাচে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। যার ফলে আইএসএল-এ শেষ ম্যাচ না খেলেই জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরিয়ে কলকাতায় ফিরছেন হীরা মণ্ডল।
শেষ ম্যাতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে নাকে গুরুতর চোট পান হীরা মণ্ডল। খেলার ১৭ মিনিটে ভিপি সুহেরের কনুই সরাসরি গিয়ে লাগে হীরার নাকে। গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে তরুণ ডিফেন্ডারের নাক থেকে। অনেকক্ষণ মাঠের বাইরে থেকেও এবং এসসি ইস্টবেঙ্গলের মেডিক্যাল টিম বারণ করলেও নাছোড়ব হীরা শেশ পর্যন্ত মাঠে নামেন। তুলো আর ব্যান্ডেজ বেঁধেই বাকি মিনিট লড়ে যান। দল জিততে না পারলেও শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত লড়াই জারি রাখেন হীরা।
ডাক্তারী
পরীক্ষার
পর
জানা
গিয়েছে
হীরার
নাকের
হাড়
সরে
গিয়েছে।
আজই
কলকাতায়
ফিরে
আসছেন
তিনি।
কলকাতারই
এক
বেসরকারি
হাসপাতালে
তাঁর
চিকিৎসা
হবে
তাঁর।
সরে
যাওয়া
নাকের
হাড়
বসানো
হবে
যথাস্থানে।
চলতি
আইএসএল-এ
১৯টি
ম্যাচের
মধ্যে
আট
ম্যাচ
ড্র
করেছে
ইস্টবেঙ্গল,
তারা
হেরেছে
১০টি
ম্যাচে
জয়
পেয়েছে
এক
ম্যাচে।
১১ পয়েন্ট নিয়ে এগারো নম্বর স্থানে রয়েছে পদ্মাপারের ক্লাব। আইএসএল-এ এখনও অবনমন চালু হয়নি এই যা রক্ষে। যদি অবমনমন চালু থাকত দেশের শীর্ষ লিগে তা হলে আগামী মরসুমে দ্বিতীয় সারির লিগে খেলতে দেখা যেত শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটিকে।