AFC Cup: এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল এটিকে মোহনবাগান, গোকুলামের কাছে বিধ্বস্ত সবুজ-মেরুন
AFC Cup: এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল এটিকে মোহনবাগান, গোকুলামের কাছে বিধ্বস্ত সবুজ-মেরুন
এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল এটিকে মোহনবাগান। বুধবার এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরল ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত করল আইএসএল-এর দলকে। গোকুলামের সামনে এই ম্যাচে দাঁড়াতেই পারেনি এটিকে মোহনবাগান। প্রথম থেকেই আই লিগের দলটি নিয়ন্ত্রণে রাখে গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাবটিকে।
যদিও ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখে বোঝায় উপায় ছিল না, মোহনবাগানকে দ্বিতীয়ার্ধে এতটা চেপে ধরবে গোকুলাম কেরল। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলশূন্য শেষ হওয়ার পর ম্যাচের ৫০ মিনিটে তাহির জামানের পাস থেকে গোকুলাম কেরলকে এগিয়ে দেন লুকা মাজসেন। যদিও বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি সবুজ-মেরুনকে। ঘরের মাঠে ৫৩ মিনিটের মাথায় লিস্টন কোলাসোর পাস ধরে প্রীতম কোটাল সমতায় ফেরান এটিকে মোহনবাগানকে। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার পর বাগান ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলে ডিফেন্সের ব্যর্থতায় আবারও পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুন। জর্ডান ফ্লেচারের পাস থেকে রশিদের গোলে ২-১ ব্যবধানে লিড বাড়ায় সদ্য আই লিগ জয়ী দল। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ফের গোল হজমক করে এটিকে মোহনবাগান। এই গোলেরও রূপকার জর্ডান ফ্লেচার। লুকা মাজসেনের বিশ্বমানে গোলে গোকুলাম কেরল এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে।
দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া এটিকে মোহনবাগান তখনও লড়াই ছাড়েনি। ম্যাচে ৮০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর একক দক্ষতায় করা গোলে এটিকে মোহনবাগানের বিপক্ষে ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২-৩। শেষ দশ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে জুয়ান ফেরান্দোর দলের সমস্ত প্রকার চেষ্টায় জল ঢেলে দেন জীতিন এমএস, জোড়া গোল করা লুকা মাজসেনের ঠিকানা লেখা পাসে এটিকে মোহনবাগানের কফিনে শেষে পেরেকটি পুঁতে দেন জীতিন।
সম্পূর্ণ ভাবে চোট মুক্ত হতে না পারায় এই ম্যাচে সন্দেশ ঝিংঘানের সার্ভিস পায় এটিকে মোহনবাগান। দেশের এক নম্বর ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতিতে এটিকের রক্ষণদূর্গ সামলানোর দায়িত্ব ছিল তিরির উপর। কিন্তু ৩৯ মিনিটে চোট পেয়ে তিরি মাঠ ছাড়ায় ঘেঁটে যায় এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণের ফর্মেশন। প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস বা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে লেনি রড্রিগেজ থাকলেও কোনও লাভ হয়নি। তিরি-সন্দেশহীন ডিফেন্সকে দ্বিতীয়ার্ধে একেবারেই নির্ভরতা দিতে পারেননি দেশীয় ছেলেরা। এই ম্যাচে হারের ফলে পরবর্তী দুই ম্যাচ মাস্ট উইন হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের সামনে।