FIFA ban AIFF: ভারতীয় ফুটবলের নির্বাসন প্রসঙ্গে কী বলছেন প্রাক্তন তারকারা জেনে নিন
ভারতীয় ফুটবলের নির্বাসন প্রসঙ্গে কী বলছেন প্রাক্তন তারকারা জেনে নিন
ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসিত করেছে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়মক সংস্থার পক্ষ থেকে এআইএফএফ-এর উপর নিশেধাজ্ঞা নেমে আসায় আহত দেশের দিকপাল ফুটবলাররা। মানস ভট্টাচার্য থেকে বিদেশ বসু, মেহতাব হোসেন থেকে রহিম নবি- দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলাররা ভারতীয় ফুটবলের এই খারাপ সময়ে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছেন পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, চাইলেই এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত।
মেহতাব হোসেন:
এই নির্বাসনকে ভারতীয় ফুটবলের জন্য লজ্জা জনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন মেহতাব হোসেন। তিনি বলেছেন, "সামনেই এশিয়ান কাপ, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ, আইএসএল আসছে এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাসিত হওয়ার থেকে বড় লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। এখন সব থেকে আগে যেই কাজটা করা প্রয়োজন তা হল ফিফার সঙ্গে আলোচনা করা এবং দ্রুত নির্বাচন সমপন্ন করা।"
মানস ভট্টাচার্য:
ভারতীয় ফুটবলের নির্বাসন প্রসঙ্গে জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বলেছেন, "আজ সারা রাজ্য জুড়ে ফুটবল খেলা হচ্ছে, আর দেশের ফুটবল নির্বাসিত হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সমস্যা অদূর ভবিষ্যতে দেশের ফুটবল কাটিয়ে উঠবে যখন নতুন করে এআইএফএফ-এর এক্সিকিউটিভ কমিটি তৈরি হয়ে যাবে।" তবে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের খেলাধূলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা নিয়ে যে একটা অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে তাকে সমর্থন করেননি মানস। তিনি বলেছেন, "অনেক রাজনৈতিকবীদ ভাল খেলাধূলা করতেন। তাঁরা ক্রীড়াপ্রশাসনে এলে টাকা পয়সার দিকটাও নিশ্চয়তা পায়। যোগ্য প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে কমিটি তৈরি করলে ফুটবলের উন্নতির ক্ষেত্রে সেটা ভাল কাজ হবে। ১৩০ কোটির দেশ ফুটবলে খেলতে পারবে না তার থেকে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না এবং এর জন্য প্রশাসনে যাঁরা আছেন তাঁরা দায় এড়াতে পারবেন না। যে হেতু তাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদেরই এগিয়ে আসতে হবে এই সমাধানটা করে দিতে।"
বিদেশ বসু:
মানস ভট্টাচার্যের মতোই অতীত দিনের দিকপাল ফুটবলার বিদেশ বসু বলেছেন, "ফিফার এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে লজ্জার। কারণ ফিফা একটা সতর্কবার্তা দিয়েছিল। এত দিনে কেন এটার সমাধান হয়নি সেটা এআইএফএফ বলতে পারবে। যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বোঝা উচিৎ ছিল ফিফা কঠর হবে। সমস্ত ভারতবাসীর কাছে এটা লজ্জার। মোহনবাগান খেলতে পারবে না এএফসি টুর্নামেন্ট, অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপও বন্ধ হওয়ার পথে। যখন ফিফা সতর্কবার্তা দিয়েছিল তখন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা উচিৎ ছিল।"
সৈয়দ রহিম নবি:
ভারতীয় দলের নির্বাসন প্রসঙ্গে সৈয়দ রহিম নবি বলেছেন, "খেলোয়াড় হিসেবে খারাপ লাগে। যারা অনূ্র্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯ বছরের ফুটবলার তাদের ভবিষ্যর কী হবে। যাঁরা উপর লেভেলে রয়েছে তাঁদের ভাবতে হবে যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হওয়া যায়। আজকের দিনটা খেলা দিবস যেমন আমাদের কাছে আনন্দের দিন, তেমনই আমার মনে হয় অন্ধকারের দিন। উপরের স্তরে যারা রয়েছে তাঁদের দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে।"
সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়:
মোহনবাগানের সহ সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "এটা অত্যন্ত খারাপ দিন। একেই ভারতীয় ফুটবল অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে, এর দ্রুত সমাধান না করা গেলে আরও পিছিয়ে পড়ব। এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত কিন্তু নিজেদের গাফিলতি এবং ভাবনা চিন্তার অভাবেই এমনটা হল। মোহনবাগান, অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ সব দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হল ফুটবল। এই সমস্যাকে দ্রুত মেটাতে হবে এবং ফিফারগাইড লাইনকেফলো করতে হবে।"
FIFA Ban India: কোন পথে নির্বাসিত হল ভারত, এক নজরে এআইএফএফ-এর নির্বাসনের টাইমলাইন