ফ্যাকাসে নেইমার, রিচারলিসনের জোড়া গোলে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল
ফ্যাকাসে নেইমার, রিচারলিসনের জোড়া গোলে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল
প্রত্যাশা মতোই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল। শুক্রবার মধ্যরাতের ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে পরাজিত করল সাম্বা বাহিনী। ব্রাজিলের হয়ে জোড়া গোল করেন রিচারলিসন। দুইটি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে। তবে, ব্রাজিল জিতলেও গ্রুপের প্রথম ম্যাচে অফ কালার দেখিয়েছে নেইমারকে।
৮০ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে ওঠার আগে নেইমারের অবদান বলতে ছিল প্রেনিট্রেটিভ জোনে মাত্র একটা কি পাস। এ ছাড়া বাকি ম্যাচে গোলে একটা শটও রাখতে পারেননি তিনি। ২৬ বার পজিশন হারিয়েছেন যার ফলে সার্বিয়ার অ্যাটাকিং ফার্ডে প্রথমার্ধে এবং দ্বিতীয়ার্ধের একাধিক সময়ে অ্যাটাক তৈরি করার সময়ে সমস্যায় পড়ে ব্রাজিল। নেইমার ফ্যাকাসে থাকায় সার্বিয়ার ডিফেন্ডারদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল। আপফ্রন্টে রিচারলিসনের সঙ্গে ভিনিসিয়াস জুনিয়র থাকলেও সার্বিয়ার ডিফেন্ডাররা ব্লকিং এবং কভারিং ঠিক মতো করার খুব একটা বিপদ তৈরি হয়েনি তাদের রক্ষণদূর্গে।
প্রথমার্ধে ডিফেন্স আঁটোসাটো করে রাখা সার্বিয়া দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের সেপ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। এই সুযোগটাই প্রথমার্ধে অফ কালার লাগা ব্রাজিলের আক্রমণ ভাল ভাবে কাজে লাগায়। ৬২ মিনিটে রিচারলিসন প্রথমবার আঘাত হানেন সার্বিয়ার গোলদূর্গে। তাঁর অসাধারণ দক্ষতায় ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। এই গোলের দশ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন রিচারলিসন এবং ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অ্যাসিস্ট থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন এভারটনের স্ট্রাইকার।
পুরো ম্যাচে ব্রাজিলের বল পজিশন ছিল ৫৯ শতাংশ। মোট ২২টি শট নিয়েছিল ব্রাজিল যার মধ্যে অন টার্গেট ছিল ৮টি শট। এই ম্যাচে ব্রাজিলের গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত যদি পোস্টে দু'টি শট লেগে প্রতিহত না হতো। অপর দিকে সার্বিয়া ৫টি শট পুরো ম্যাচে নিলেও একটিও টার্গেটে ছিল না। সেই ভাবে কখনওই বিপদ তৈরি করতে পারেনি সার্বিয়া। পুরো ম্যাচে ব্রাজিল ৫৮০টি পাস খেলে যার মধ্যে নির্ভুল ছিল ৫০৩টি পাস, সেখানে ৪০৮টি পাসের মধ্যে নির্ভুল পাস খেলে ৩২৬টি।
নেইমারের মতো এ দিন ফ্যাকাসে লেগেছে বার্সেলোনার তরুণ স্ট্রাইকার রাফিনহাকেও। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত মাঠ ছিলেন তিনি একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এই ম্যাচে রাইট উইংয়ে খেলেন ড্যানিলো। তিনি খারপ না খেললেও তাঁর পরিবর্তে দলটির বর্ষীয়াণ ফুটবলার ড্যানি আলভেজ যদি খেলতেন তা হলে আরও অনেকটা বাড়তে পারত ব্রাজিলের আক্রমণের ঝাঁঝ।