বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন জার্মানির তরুণ স্ট্রাইকার
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন জার্মানির তরুণ স্ট্রাইকার
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-এ গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া এড়াতে পারেনি জার্মানি। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে বড় জয় পেলেও তা জার্মানদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করের ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা রাখতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে পরাজয় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে ড্র জাপানকে ব্যকফুটে ফেলে দিয়েছিল। এই অবস্থায় প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে হলে কোস্টা রিকাকে বড় ব্যবধানে হারানোর পাশাপাশি জাপান-স্পেন ম্যাচে ফলাফলের উপর নির্ভর করতে হত জার্মানিকে।
চার বছর আগের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় দেশবাসী এবং জার্মানি অগুণিত সমর্থকের কাছে ক্ষমা চাইলেন তরুণ স্ট্রাইকার কাই হাভার্টজ। ফিফা বিশ্বকাপের হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়। যেখানে ম্যাচে ম্যাচের সেরা হওয়ার পর কাই হাভার্টজ সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কী জানিয়েছেন তার উল্লেখ করা হয়। টুইটে ফিফা লিখেছে, "ম্যাচের সেরা কাই হাভার্টজ জার্মান সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁর জোড়া গোল যথেষ্ট ছিল না জার্মানিকে নক আউট পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।" কাই হাভার্টজ বলেছেন, "আমরা অত্যন্ত দুঃখিত তাঁদের বিশ্বকাপের মঞ্চে আবারও হতাশ করার জন্য। আমাদের সমর্থকেরা বহু বছর ধরে এর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন এবং আমরাও স্বপ্ন দেখেছিলাম তাঁদের সমর্থন নিয়ে খেলার। এখন আবারও আমরা ওনাদের হতাশ করলাম। আমরা ক্ষমা চাইছি তাঁদের কাছে এবং আশা করি আগামী সংস্করণে ভাল পারফর্ম করব।" কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নেমে দুইটি গোল করে ম্যাচের সেরা হন কাই হাভার্টজ।
আট বছর আগে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি। তার পর থেকে বিশ্বকাপে শুধু ব্যর্থতাই হাত লেগেছে তাদের। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ২০১৮ বিশ্বকাপে সকলকে অবাক করে গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে যায়। এই বার অনেকেই জার্মানিকে অন্যতম ফেভারিট মনে করেছিলেন কিন্তু সেখানে তারা ব্যর্থ। গ্রুপের বাধাই টপকাতে পারেননি। ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে জার্মানি লাতিন আমেরিকা বা দক্ষিণ আমেরিকায় বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১৪ সালে।
কাতারে প্রথম ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও পরাস্ত হয় জার্মানি। জাপান দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে জার্মানিকে বিশ্বকাপের শুরুতেই ধাক্কা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ভাল ভাবে টিকে থাকার জন্য স্পেনের বিরুদ্ধে জয় প্রয়োজন ছিল জার্মানির। কিন্তু সেই ম্যাচে কোনও ভাবে হার বাঁচায় তারা। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছে জাপান এবং দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে স্পেন।