হ্যারি কেনের আলোতেই উদ্ভাসিত ইংল্যান্ডের রেকর্ড জয়
ইংল্য়ান্ড বনাম পানামা ম্য়াচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হল ইংরেজ অধিনায়ক হ্যারি কেন কে। হ্যাট্রিক করা নায়কই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হবেন, তাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাও অনেকেই বলছেন, এই বাছাই ঠিক হয়নি, ম্যান অব দ্য ম্যাচ দেওয়া উচিত ছিল লিঙ্গার্ড বা জন স্টোন্সকে।

পানামা ম্যাচে তিন তিনটি গোল করেছেন হ্যারি কেন। কিন্তু তার মধ্যে দুটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। আরেকটি এসেছে ডিফ্লেকশনে, অর্থাত তার পায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে গেছে। তাই তাঁকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ বাছা নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের দাবি ম্যাচে তার চেয়ে অনেক বেশি খেটেছেন লিঙ্গার্ড বা জন স্টোন্স। কেউ কেউ তুলেছেন ট্রিপারের নামও।
আবার অনেকে বাছাইকে সমর্থন করে বলছেন, পেনাল্টি মারা অত সহজ নয়। বিশ্বের সেরা ফুটবলার মেসি এই বিশ্বকাপেই পেনাল্টি মিস করেছেন। পেনাল্টি মারা কঠিন তো বটেই, তার থেকেও কঠিন একই ম্যাচে দুটি পেনাল্টি মারা। কারণ এক কৌশল বারবার খাটে না। তাছাড়া প্রথমবারের পর গোলকিপার পেনাল্টি শুটারের মনোভাব অনেকটাই বুঝে যান।
<blockquote class="twitter-tweet blockquote" data-lang="en"><p lang="en" dir="ltr">There was only ever really one contender for <a href="https://twitter.com/Budweiser?ref_src=twsrc%5Etfw">@Budweiser</a> <a href="https://twitter.com/hashtag/ManoftheMatch?src=hash&ref_src=twsrc%5Etfw">#ManoftheMatch</a> in <a href="https://twitter.com/hashtag/ENGPAN?src=hash&ref_src=twsrc%5Etfw">#ENGPAN</a>...<br><br>Congrats to <a href="https://twitter.com/England?ref_src=twsrc%5Etfw">@England</a> captain <a href="https://twitter.com/HKane?ref_src=twsrc%5Etfw">@HKane</a>! <a href="https://t.co/1MGlAQE4Yn">pic.twitter.com/1MGlAQE4Yn</a></p>— FIFA World Cup 🏆 (@FIFAWorldCup) <a href="https://twitter.com/FIFAWorldCup/status/1010884983639236608?ref_src=twsrc%5Etfw">June 24, 2018</a></blockquote> <script async src="https://platform.twitter.com/widgets.js" charset="utf-8"></script>কেন কিন্তু দুটি পেনাল্টির কোনটির ক্ষেত্রেই পানামার গোলকিপারকে সামান্যতম সুযোগও দেননি। শুধু তাই নয়, মনে রাখতে হবে তিনি দলের অধিনায়ক। অধিনায়ক যখন এরকম ধারাবাহিক পারফরমেন্স দেন, তখন গোটা দলই মানসিক ভাবে চেগে যায়। আর সেটাই দেখা যাচ্ছে এই তরুন ইংল্যান্ড দলে।
লিঙ্গার্ড, জন স্টোন্স দুজনেই অবশ্যই এই খেতাবের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে তাঁদের দুজনেরই খেলায় অল্প সংখ্যক হলেও ভুল হয়েছে। সেদিক থেকে এদিন ইংরেজ অধিনায়ক ছিলেন একেবারে নিখুত। তাছাড়া ম্য়াচে তাঁর প্রভাবের কথা বিচার করে বলতেই হয়, হ্য়ারি কেনের আলোতেই উদ্ভাসিত ইংল্যান্ডের এই রেকর্ড জয়।