করোনা আতঙ্কে পৃথিবীর মন খারাপ ভালো করে দিল বুন্দেসলিগার প্রত্যাবর্তন, সেলিব্রেশনে চমক!
করোনা আতঙ্কে পৃথিবীর মন খারাপ ভালো করে দিল বুন্দেসলিগার প্রত্যাবর্তন, সেলিব্রেশনে চমক!
করোনাকে হারিয়ে ফুটবলযজ্ঞ শুরু! মারণ ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ইউরোপে ফুটবল যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। হতাশা কাটিয়ে টিভির পর্দায় প্রাণের ফুটবলে মজলেন ফ্যানেরা।পৃথিবীর মন খারাপ ভালো করে দিল বুন্দেসলিগার প্রত্যাবর্তন।
|
ভাইরাসের কারণে কত মাস বন্ধ ছিল ফুটবল
করোনা ভাইরাসের কারণে দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপে ফুটবল বন্ধ ছিল। ইউরোপের প্রথম বড় লিগ হিসেবে শনিবার থেকে বুন্দেসলিগায় বল গড়ালো।
|
ফাঁকা স্টেডিয়ামে প্রতিধ্বনি
ফুটবল ফিরল, এবার ক্রমে দর্শক ফিরবে মাঠে! এটাই করোনায় থাবা বসানো ফুটবল দুনিয়ায় এখন একমাত্র স্লোগান। শনিবার বুন্দেসলিগায় ইডুনা পার্কে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড বনাম শালকের ম্যাচের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণে কেন্দ্রে ছিল। টিভির পর্দায় বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ফুটবলভক্ত এই ম্যাচ উপভোগ করে।
|
ঘোস্ট ডার্বি
করোনার কারণে ফাঁকা গ্যালারিতে এই ম্যাচ আয়োজন করতে হওয়ায় জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ড বনাম শালকের ডার্বি ম্যাচটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে ঘোস্ট ডার্বি বলে নাম দেয়। ইডুনা পার্কে ম্যাচ হলে অন্য সময় দর্শকাসনের ৮১ হাজারের পুরোটাই হাউসফুল থাকে, সেটাই এদিন করোনার কারণে সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল।
|
ম্যাচের ফল
প্রত্যাবর্তনের প্রথম দিনই ডার্বি ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড বাজিমাত করে। শালকেকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগ শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের আরও কাছে চলে গেল বরুশিয়া।
|
নিঃস্তব্ধ গ্যালারি
২৯ মিনিটে আর্লিং ব্রাউট হাল্যান্ডের শট গোলে ঢুকলে, বিশ্বজুড়ে ঘরে বসে খেলা দেখা ফুটবল ভক্তরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও ইডুনা পার্কের গ্যালারিতে ছিল যেন শ্মশানের নিঃস্তব্ধটা। হলুদ পতাকা ওড়া বা হলুদ জার্সির নাচের কোনওটাই এদিন ছিল না!
|
করোনার পর প্রথম গোল
ম্যাচের ২৯ মিনিটে আর্লিং ব্রাউট হাল্যান্ডের শট গোলে ঢোকে। এটাই করোনা পরবর্তী সময় ফুটবল যজ্ঞ শুরু হলে ইউরোপীয় কোনও ক্লাবের প্রথম গোল।
|
কত দিন পর বুন্দেসলিগার প্রথম গোল
ইউরোপের ফুটবল ইতিহাসে করোনা-পরবর্তী ফুটবলে প্রথম স্কোরার হিসেবে নরওয়ের ফুটবল তারকা হাল্যান্ডের নামটা লেখা থাকবে। ৬৬ দিন পর বুন্দেসলিগার প্রথম গোল হল।
|
গোল সেলিব্রেশেনে চমক
করোনা উদ্বেগের মাঝে স্যাঞ্চো-হাল্যান্ডদের গোল সেলিব্রেশন দর্শকদের সবচেয়ে বেশি অবাক করে। গোল করে ফুটবলাররা গ্যালারির সামনে গিয়ে হাততালি দেন, হাত তুলে দৌড়ন। অদৃশ্য দর্শকদের জন্যেই ফুটবলাররা এমনটা করেন। গ্যালারির দর্শকদের কতটা মিস করেছেন স্যাঞ্চো-হাল্যান্ডরা এভাবেই যেন বুঝিয়ে দিলেন।
|
কনুই ঠেকিয়ে গোল সেলিব্রেশন
প্লেয়ারদের সেলিব্রেশন হল সোশ্যাল ডিস্টান্সিং মেনে। হাল্যান্ড ফিফার কম্পিউটার গেমসের সেলিব্রেশনের ঢঙে নাচেন। সতীর্থরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দূরে দাঁড়িয়ে গোল সেলিব্রেশন করেন। অন্য গোলের পর ফুটবলাররা কনুই ঠেকিয়ে সেলিব্রেট করে।
ছবি সৌজন্যে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের টুইটার
বাংলাদেশে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থন নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা, কী বললেন হিটম্যান