১৯৯৩ থেকে ২০১৭ : মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী জেনে নিন একনজরে
১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় এদিন মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালত আবু সালেম সহ মোট ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। একনজরে দেখে নিন ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী।
১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০১৫ সালে দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেননের ফাঁসি হয়। মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্যতম চক্রী ছিল দাউদ ঘনিষ্ঠ ইয়াকুব মেনন। এই ঘটনায় এদিন দোষী সাব্যস্ত হল আর এক দাউদ ঘনিষ্ঠ আন্ডারওয়ার্ল্ড অপরাধী আবু সালেম। এদিন মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালত আবু সালেম সহ মোট ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। একনজরে দেখে নিন ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী।
১২ মার্চ, ১৯৯৩ : মুম্বইয়ের ১৩ টি আলাদা জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৫৭ জনের মৃত্যু, আহত ৭১৩ জন।
১৯ এপ্রিল ১৯৯৩ : বিস্ফোরণে ব্যবহৃত বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে গ্রেফতার করা হয়।
৪ নভেম্বর ১৯৯৩ : ১৮৯ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১০ হাজার পাতার প্রাথমিক চার্জশিট দাখিল করা হয়। যার মধ্যে সঞ্জয় দত্তের নাম ছিল।
১৯ নভেম্বর ১৯৯৩ : মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার দায়িত্বভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।
১ এপ্রিল ১৯৯৪ : মুম্বই নগর দায়রা আদালত থেকে টাডা আদালতকে আলাদা একটি জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয় আর্থার রোড সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে।
১০ এপ্রিল ১৯৯৪ : ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ২৬ জনকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় টাডা আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টও দুজনকে (আসীম আজমি ও আমজেদ মেহের বক্স) মুক্তি দেয়।
১৯ এপ্রিল ১৯৯৪ : মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার ট্রায়াল শুরু হয়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনও শুরু হয় তখনই।
১৪ অক্টোবর ১৯৯৪ : সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত।
২৯ মার্চ ১৯৯৬ : মুম্বই বিস্ফোরণ মামলা বিচারের দায়িত্ব বর্তায় স্পেশাল টাডা বিচারপতি পিডি কোড়ের উপরে।
অক্টোবর ২০০০ : এই মামলায় সাক্ষী হিসাবে ৬৮৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
জুলাই ২০০১ : অভিযুক্ত সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।
আগস্ট, ২০০১- অগাস্ট ২০০২ : মামলায় সরকারি পক্ষ ও আসামি পক্ষের মধ্যে বক্তব্যের শুনানি চলে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ : দাউদ ইব্রাহিমের দলের সদস্য ইজাজ পাঠানকে আদালতে হাজির করা হয়।
অগাস্ট ১০, ২০০৬ : বিচারপতি পিডি কোড়ে শুনানি শেষে জানান, মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে ১২ সেপ্টেম্বর।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ : গোটা ঘটনায় ১২ জনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়।
১ নভেম্বর, ২০১১ : সুপ্রিম কোর্টে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১০০ জনের আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
২৯ আগস্ট, ২০১২ : মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার রায়দান স্থগিত রাখে সর্বোচ্চ আদালত।
২১ মার্চ, ২০১৩ : মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম মাস্টার মাইন্ড ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজাকে সমর্থন সুপ্রিম কোর্টের।
মে, ২০১৪ : রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ইয়াকুব মেমনের মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন খারিজ করলেন।
২ জুন, ২০১৪ : ফের একবার ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা স্থগিত রেখে ফের শুনানি চলল সুপ্রিম কোর্টে।
৯ এপ্রিল, ২০১৫ : ফের একবার ইয়াকুব মেমনের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
২১ জুলাই, ২০১৫ : ইয়াকুব মেমনের শেষ আইনি অস্ত্র কিউরিটিভ পিটিশনও খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। সেদিনই কয়েকঘণ্টার মধ্যে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় ইয়াকুব।
২৩ জুলাই, ২০১৫ : ৩০ জুলাই নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ডের সাজা স্থগিত রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান ইয়াকুবের আইনজীবীরা।
২৯ জুলাই, ২০১৫ : ইয়াকুবের সেই আবেদনও খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ফের একবার রাষ্ট্রপতির কাছে নতুনভাবে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় ইয়াকুব মেমন। ফের একবার মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল তা খারিজ করেন, পত্রপাট নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতিও।
৩০ জুলাই, ২০১৫ : এদিন মাঝরাতে ফের একবার ইয়াকুব প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে। মাঝরাতে দীর্ঘ প্রাণ দু'ঘণ্টার শুনানির পর তা খারিজ হয় ও এদিন সকাল সাড়ে ৬ টার পরে ইয়াকুবরে শেষপর্যন্ত ফাঁসিকাঠে ঝোলানো হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০১৫ : ইয়াকুবের ঘটনা চলার মাঝেই মুম্বইয়ের বিল্ডার প্রদীপ জৈন হত্যা মামলায় আবু সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল আদালত।
১৬ জুন, ২০১৭ : বিশেষ আদালতের রায়ে আবু সালেম সহ মোট পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসবাদের ধারায় আবু সালেমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। টাডা আদালতের রায় মোতাবেক আবু সালেম, মুস্তাফা দোসা, তাহির মার্চেন্ট ও ফিরোজ খান মুম্বই বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম।