বাঁদর স্কুলছাত্রীকে 'উত্যক্ত' করায় জাতিদাঙ্গা বাধল লিবিয়ায়; ২০ জন মৃত কমপক্ষে
বাঁদর স্কুলছাত্রীকে 'উত্যক্ত' করার ফলে ট্যাঙ্ক-রকেট নিয়ে জাতিদাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ল লিবিয়ায়; রেহাই পেল না পশুটিও
বাঁদরের বাঁদরামিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধল আর তাতে মারা পড়ল কম করে বিশ জন মানুষ! হ্যাঁ, এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি দক্ষিণ লিবিয়ার সাভা শহরে।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এক দোকানদারের পোষা বাঁদর এক স্কুলছাত্রীর গায়ে লাফিয়ে পড়ে তার মাথার স্কার্ফ খুলে দিলে সেই ছাত্রীর বাড়ির লোক প্রতিশোধ নিতে ওই বাঁদরটি সহ তিনজন লোককে মেরে ফেলে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীটি আওলাদ সুলেমান গোষ্ঠীর আর যে কয়েকজনের সঙ্গে ওই বাঁদরটি ছিল, তাঁরা গুয়াদাদফা গোষ্ঠীর (প্রয়াত লিবিয়ান শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিও এই গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন)।
জাতি-গোষ্ঠী বিভাজনে জর্জরিত লিবিয়াতে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো নয় আর তাই এই ঘটনাকে নিয়ে অচিরেই কুরুক্ষেত্র শুরু হয় রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরে।
বেশ কিছুদিন ধরে এই সংঘর্ষ চলতে থাকে এবং যদিও ২০ জন মারা যাওয়ার কথা পাওয়া গিয়েছে, বাস্তবে সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের রূপ এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে ট্যাঙ্ক, রকেট, মর্টার সহ নানা বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়েও শত্রুনিধনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নানা গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। গোষ্ঠীর নেতারা বারবার শান্তির আবেদন জানানো সত্ত্বেও সংঘর্ষের তীব্রতা কমেনি বলে জানায় রয়টার্স সংবাদ সংস্থা।