'প্রেমঘটিত' কারণে আত্মহত্যায় সারা দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ
প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যায় পশ্চিমবঙ্গ সবার উপরে। ২০০১-২০১৫ সালের মধ্যে ২০১২ সালের তথ্য উপলব্ধ নয়। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে এই ১৪ বছরে প্রেমঘটিত কারণে পশ্চিমবঙ্গে ১৫ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
নয়াদিল্লি, ২ এপ্রিল : গত ১৫ বছরে সন্ত্রাস হামলার ঘটনা বারবার করে ভারতে শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে জানেন কি, এর চেয়ে ঢের বেশি মানুষ ভালোবাসার কারণে ভারতে প্রাণ হারান। অর্থাৎ সন্ত্রাসের চেয়ে প্রেম ছয় গুণ বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয় ভারতে।
যৌন দাসত্বের কারবারে ভারতের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ
ভারতে আইএস জঙ্গিদের মূল উৎস পশ্চিমবঙ্গ
২০০১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ৩৮৫৮৫ জন মানুষ ভারতে খুন হয়েছেন অথবা অন্য কারণে মারা গিয়েছেন। এর পিছনে কারণ একমাত্র প্রেম-ভালোবাসা। এর পাশাপাশি সরকারি হিসাবে বলছে, এই সময়ের ১৫ বছরে ৭৯১৮৯টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রেমঘটিত কারণে ২.৬ লক্ষ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে প্রতিদিন ৭টি খুন, ১৪টি আত্মহত্যা, ৪৭টি অপহরণের ঘটনা ঘটে চলেছে। যার পিছনে কারণ প্রেম-ভালোবাসা ঘটিত।
অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদের কারণে এই একই সময়ে ভারতে ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার মধ্যে সাধারণ নাগরিক ও সেনাকর্মীরা রয়েছেন। তথ্য বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশে প্রেমঘটিত কারণে হত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে।
ইনস্যুরেন্স জালিয়াতিতে একেবারে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের বিচারে সবার উপরে পশ্চিমবঙ্গ!
প্রতিটি রাজ্যে গড়ে তিন হাজারের বেশি প্রেমঘটিত কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বেশি থাকায় সেখানে খুনের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে খুন করা হয়েছে। অথবা জাতের ভিন্নতা খুনের কারণ হয়েছে, অথবা পরিবারের সম্মানরক্ষার্থে খুন করা হয়েছে।
প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যায় পশ্চিমবঙ্গ সবার উপরে। ২০০১-২০১৫ সালের মধ্যে ২০১২ সালের তথ্য উপলব্ধ নয়। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে এই ১৪ বছরে প্রেমঘটিত কারণে পশ্চিমবঙ্গে ১৫ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর পরই রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে ৯৪০৫ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে প্রেমে আত্মহত্যায় এগিয়ে রয়েছেন মহিলারা।
এই সংখ্যা দেখেই কেউ যদি আঁতকে ওঠেন তাহলে শুনুন, আসল সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে এই ধরনের ঘটনার কোনও খবরই বাইরে আসে না। এমনকী অভিযোগ, অনার কিলিংয়ের মতো ঘটনায় পুলিশ নিজে সাহায্য করে অপরাধ চাপা দিয়ে দেয়।